কিষাণ মান্ডি নিয়ে বহু বছর ধরেই দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। চরম হয়রানির শিকার হন চাষীরা। যা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতি ঠেকাত বেশ কিছু দাওয়াই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবস্থার বদল হয়নি। ফলে সোমবার বর্ধমানের দলীয় সভা থেকে কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কিষাণ মান্ডিতে গেলে অনেক সময় কৃষকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বার বার তাঁদের ঘোরানো হচ্ছে। অনেক সময় ঠিক মতো ওজনও পান না। কারোর সঙ্গে এরকম হলেই বিডিও অফিসে যান, এফআইআর করান। বিডিও ও ওসিদেরও বলছি অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করুন। যে কাজ করবে না তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।'
এর আগে বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী কিষাণ মান্ডিতে ধান কেনা বেচা নিয়ে দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছিলেন। বলেছিলেন যে, 'গরীব কৃষকদের ঠকানো হচ্ছে। এসব কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। কারও থেকে ধান না কেনা মানেই আড়তদারদের সুবিধা করে দেওয়া। এটাও এক ধরনের দুর্নীতি।' এসবের পরই কিষাণ মান্ডিতে তিনটি করে খাতা রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'যাদের ধান কেনা সম্ভব হয়নি তাঁদের নাম থাকবে লাল খাতায়। সবুজ খাতায় যাদের ধান কেনা হয়েছে এমন কৃষকদের নাম থাকবে। আর আড়তদারদের নাম থাকবে হলুদ খাতায়।'
এছাড়াও, দুর্নীতি রখতে কিষাণ মান্ডিগুলির সিসিটিভি ফুটেজ, ওজন করা যন্ত্রের পরীক্ষা, পুলিশকে সারপ্রাইজ ভিজিট করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এ যেন স্বপ্ন-পূরণ!