সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বগটুই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ''সিবিআই যদি এত সিরিয়াস, তাহলে কীভাবে হেফাজতে থাকাকালীন একজনের মৃত্যু হল?'' মঙ্গলবার শিলঙে সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, সোমবার বীরভূমে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় ভাদু শেখ খুন পরবর্তী বগটুই গ্রামে হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া লালনের। দিন কয়েক আগেই লালনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে লালন শেখ আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যদিও সিবিআইয়ের এই দাবি মানতে নারাজ লালনের পরিবার। লালনকে খুন করেছে সিবিআই, ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ তুলে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেছেন লালনের স্ত্রী।
এবার লালনের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শিলঙে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ''আমি এই ঘটনার নিন্দা করছি। যদি সিবিআই এত সিরিয়াস থাকবে তবে কেন তাঁর মৃত্যু হল? সে হেফাজতে থাকাকালীন মারা গেল। ওঁর স্ত্রী এফআইআর দায়ের করেছে। আমরাও এই ইস্যুটি নিয়ে সোচ্চার হব।''
আরও পড়ুন- এজেন্সি তোপে বিজেপিকে তুলোধনা, ‘বাংলা পারলে মেঘালয় কেন নয়’, সুর চড়ালেন অভিষেক
এদিকে, লালন শেখের মৃত্যুর সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বর ডেডলাইন প্রসঙ্গ টেনে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারী দিন কয়েক আগেই ডিসেম্বরের তিনটি দিন উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শাসকদলকে। শুভেন্দুর উল্লেখ করা সেই তিনটি দিনের প্রথম দিন ছিল ১২ তারিখ, অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর। সেই ১২ তারিখেই সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। লালন শেখ মৃত্যুর তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।