মা ভবতারিণীর মন্দির প্রাঙ্গন থেকেই দক্ষিণেশ্বরে ইতিহাস, ঐতিহ্যের উপর তৈরি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তুলে ধরলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রানী রাসমণির কর্মকাণ্ডের নানা বিষয়। বার্তা দিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার রাণী রাসমণি সম্বন্ধে বলেতে গিয়ে নিজের ছোটবেলার কথা টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ছোটবেলায় মা, বাবার মুখেও শুনেছি যে উনি আমাদের গঙ্গার ঘাটেও স্নান করতে আসতেন। উনি বলরাম বসু ঘাটে যেতেন। ৭১ নম্বর হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও যেতেন। আমার বাবা বলেছিন, এই ঘাটের যেন কাঠামোর কোনও বদল না হয়। আমি সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছি। উনি যে ঘাটে আসতেন সেটা আমি বাঁধিয়ে দিয়েছি। ওটা ইতিহাসের দলিল।'
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে যত জমি আছে সবই ঠিকা জমি, আর সব মালিক কিন্তু রানী রাসমণি। এবং আমি যে বাড়িটায় থাকি সেটাও ওদের।'
এদিনের বক্তব্যের সময় কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, 'আমরা অনেকেই রাণী রাসমণিকে ধার্মিক দেবী হিসাবে চিনি। কিন্তু বন্দ মা তাঁর যে পরিচয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না। উনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেই সময় যেভাবে লড়েছিলেন, লড়াইকে প্রাণবন্ত করেছিলেন তা এক দৃষ্টান্ত। সেটা একটা চর্চার বিষয়।'