'সেটিং' কটাক্ষ নিয়ে এবার চাঁচাছোলা মুখ্যমন্ত্রী। সাফ বললেন, 'আমি সেটিং করি না, আমার কাছে অনেকে সেটিং করতে আসে।'
Advertisment
দলের (তৎকালীন) মহাসচিব গ্রেফতারের পরপরই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন দিনে তিনবার মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হয়। যা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে নানা বিতর্ক। বিরোধী বাম, কংগ্রেসের অভিযোগে, বিজেপির সঙ্গে 'সেটিং' করতেই রাজধানীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আগেই এই অভিযোগের জবাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, 'অনেকে বলছে আমি সেটিং করতে দিল্লি গিয়েছি। কেন যাব না? আমার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা ৭ মাস টাকা পায় না। এদের জন্য আমায় যেতে হলে হাজার বার যাব।'
আর বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেটিং ইস্যুতে আরও সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'আমি সেটিং করি না, আমার কাছে অনেকে সেটিং করতে আসে। আমি যেখানে ফিট নই, সেখানে কি করে সেটিং করব? আর মাথা ঝোঁকায় না বলেই তো সিপিএম আমলে আমায় মারধর করা হয়েছে। অনেক বড় বড় কংগ্রেস নেতা সহ অন্যান্য দলের লোকেরা বিজেপির কাছে মাথা নুইয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস এসব করবে না।'
তৃণমূল নেত্রীর দাবি, 'সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। এরকম নোংরা রাজনীতি দেখলে আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। এরকম নিকৃষ্ট জানলে রাজনীতিতে আসতাম না। ভাবেন স্বার্থের জন্য বসে থাকি? জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আগেও পদ ছেড়ে দিয়েছি। আমি তো চিরকাল বাঁচব না।'
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, 'আমরা কারোর খাইও না, পরিও না। আমি একটা মশাও মারতে ভয় পাই। ডেড বডির ছবি দেখতেও ভয় পাই।'
তাঁর পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। যা নিয়ে মমতার হুঙ্কার, 'লেবু কচলাতে কচলাতে কিন্তু তেঁতো হয়। আমার পরিবারকে নোটিস করলে আমি আইনত লড়ব। কিন্তু এখানেও বিজেপি নাক গলাচ্ছে। তবে আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।'