রায়গঞ্জের চাকুলিয়ার সভা থেকে এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঙ্কার ছেড়ে সরাসরি আদালতকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে তাঁর সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ। এছাড়াও চাকরিহারাদের হতাশ না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে মমতার আশ্বাস, তাঁর সরকারের এখনও ১০ লাখ সরকারি চাকরির পদ ফাঁকা আছে।
Advertisment
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, '২৬ হাজার শিক্ষকদের চাকরি চলে যাবে, এমন বোমা! আমি বলছি হাইকোর্টের রায় বেআইনি। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। সুপ্রিম কোর্টে যাবো। আমরা যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, আপনারা আইনের খোঁচায় কেড়ে নিচ্ছেন।'
এরপরই চাকরিহারাদের মমতার পরামর্শ, 'হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা পাশে আছি। যত দূর দরকার, লড়াই করব। ২৬ হাজার শিক্ষক মানে দেড় লক্ষ পরিবার। টাকা ফেরত চার সপ্তাহে কি করে সম্ভব?'
হাইকোর্টের এই কড়া নির্দেশের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, বিজেপির লোকেদের এখানে বসিয়েছে, এটা বিজেপি বিচারালয়। বিচারের বাণি নিভৃতে কাঁদে। আমি বিচারক নিয়ে বলছি না। রায় নিয়ে বলছি। বিজেপি পিল (আবেদন) করলে বেল, আমরা পিল করলে জেল। কী করবেন? আমায় জেলে পাঠাবেন? প্রস্তুত আছি। মানুষের পাশ থেকে সরব না। পরিবারের পাশে আছি।'
হাইকোর্টের এ দিনের নির্দেশ, ২০১৬ সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। এই আবহে ২৬ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল করে উচ্চ আদালত। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশের ২০১৬ প্যানেল বাতিল হল। চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ-সহ সব বেতন ফেরত দিতে হবে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই মুখ্যমন্ত্রীকে 'মিথ্যাবাদী' বলে কটাক্ষ করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।