তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বদলে গেল তৃণমূলের প্রস্তাবিত কর্মসূচি। আগামী ৫ আগস্টের বদলে কর্মসূচি বদলে হবে ৬ তারিখে। রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই অবস্থান, বিক্ষোভ, কর্মসূচি চলবে। এদিন বিধানসভা প্রাঙ্গনে তৃণমূলের দুই নেতা ফিরহাদ হাকিম ও তাপস রায় বলেছেন, 'আমরা রাজনৈতিক দল, আমাদের গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার আছে। আমরা তাই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত এই কর্মসূচি করব।'
পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলা ৫বার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে। অথচ আমাদেরই আবাস যোজনায় টাকা দিল না। সব রাজ্য টাকা পেলেও বাংলা বাদ। কেন এই বঞ্চনা। দিনের পর দিন ৭ হাজার কোটি বকেয়া আটকে রেখেছে কেন্দ্র। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের কথায় এই টাকা আটকে রেখে গরিবদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে, জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পাল করা হবে ৬ই আগস্ট।'
আরও পড়ুন- দুর্নীতির অভিযোগকে ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ নুসরতের! কিন্তু কড়া প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন সাংসদ-অভিনেত্রী
গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। দায়ী করেন বিজেপি-কে। এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অঞ্চলে অঞ্চলে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নিদান দিয়েছিলেন। ওইদিনই অভিষেকের পরে বলতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ঘোষণার সংশোধন করেন। নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্লকে ব্লকে প্রতীকী ঘেরাও কর্মসূচি পালনের। যা নিয়ে সরব হয় বিরোধী দল বিজেপি। আদালতে মামলা করা হয়। পাল্টারাজ্যের শাসক দলের বক্তব্য ছিল, তাদের কর্মসূচির ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তাদের তরফে বিজেপির কোনও নেতার বাড়ি ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা ছিল না। হাইকোর্টও তৃণমূলের ওই ঘেরাও কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
আগামী ৫ তারিখের এই কর্মসূচি নিয়ে হাইকোর্টের আপত্তির পরই আগামী ৫ই আগস্টের কর্মসূচির দিন বদল করল তৃণমূল। জানা গিয়েছে, দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই পরিবর্তন হয়েছে।