গত শুক্রবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচার ব্যবস্থাকেও কটাক্ষ করেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিচার ব্যবস্থা ও বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে সোমবার মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। তবে সরাসরি অভিষেকের নাম নেননি তিনি। এক মামলায় এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'কিছু রাজনৈতিক নেতা আদালতের নামে উল্টোপাল্টা বলেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি না।'
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'সুপ্রিমো এমন কথা বলেন না। তাঁকে দেখেছি, বিচারপতিদের সম্মান করেন। খুবই সহজ সরল মানুষ। দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। অনেক নেতা-মন্ত্রীও আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন না।'
টেট সংক্রান্ত একটি জরুরি মামলার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে সোমবার তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো হাইকোর্টে যান গৌতম। গৌতমের সঙ্গে কথোপকথন চলার সময়ই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় হাতজোড় করে বলেন, 'আপনারা অধ্যাপক মানুষ। আপনাদের সব সময় শ্রদ্ধা করি। কিছু রাজনৈতিক নেতা আদালতের নামে উল্টোপাল্টা বলেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি না।' তার পরই মমতার প্রশংসা করে ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে বিচারপতির কথা শুনে বার সম্পাদক বলেন, 'তাঁর কাছ থেকে এমন আশা করবেন না। কারণ, তিনি আমাদের জগতের মানুষ। নিয়মিত মেম্বারশিপ রয়েছে।'
অতীতেও অবশ্য মমতা প্রসঙ্গে ইতিবাচক মন্তব্যই করতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? আমাকে বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।' এরপর, নবমহাকরণ হস্তান্তরের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।