পুরীতে একটি বাংলা নিবাস বানাবে রাজ্য সরকার। আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিন দিনের ওডিশা সফরে গিয়ে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীতে যান। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার আগে নিউ পুরীতে বঙ্গভবন নির্মাণের জন্য একটি জমি দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন ওড়িশার মুখ্যসচিব ও পুরীর জেলা শাসক। পুরীতে নির্মীয়মান বিমানবন্দরের কাছে জমি দেখে হাসি মমতা বলেন, 'আমি খুশি আছুন্তি। জমি দেখুন্তি, পছন্দ হুন্তি। কাল নবীনজিকে সাথ মিলুন্তি।'
Advertisment
স্বর্গদ্বার মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে কিছুটা যাওয়ার পর পুরীতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। তারই কাছাকাছি একটি জমি বঙ্গভঙ্গ নির্মাণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারে দেবে ওডিশা। কতটা জমি মিলবে? সেই ঘোষণা ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের জন্য তুলে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পুরী বাঙালিদের কাছে সুইট হোম। প্রত্যেক বছর বহু বাঙালি পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। কিন্তু, বাংলার কোনও গেস্ট হাউস এখানে ছিল না। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি এই জমি দিয়েছেন। আমার জায়গাটা পছন্দ হয়েছে। নতুন এয়ারপোর্ট হচ্ছে এখানে, ব্রিজও তৈরি হচ্ছে। এটা খুব ভাল জায়গা হয়ে উঠবে। এখানে বাংলার গেস্ট হাউস গড়ে উঠবে।'
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বাঙালিরা সব থেকে বেশি পুরীতে আসেন। রথ বা ছুটির সময় অনেকে পুরীতে এসে জায়গা পান না থাকার। আমাদের এই নিবাস হলে কিছু মানুষকে থাকার জায়গা দিতে পারব।'
জমি হস্তান্তরের কতদিন পর নিবাস তৈরির কাজ শুরু হবে? মমতা বলেন, 'মাটি পরীক্ষা, বিল্ডিং প্ল্যান ইত্যাদির বিষয় রয়েছে। কারণ সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অনেক বিধি মেনে বাড়ি তৈরি করতে হয়। সেসব করতে যা সময় লাগে সেটুকুই লাগবে। বিল্ডিং প্ল্যান অনুযায়ী ঠিক হবে কত মানুষ থাকতে পারবেন। আমরা চাই খুব ভালো করে এই বাড়িটা তৈরি করতে, তবে অর্থ বেশি নেই। যদিও কম অর্থের অনের ভালো জিনিস বানানো যায়।'
এরপর পুজো দিতে সোজা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো দিয়ে বেরিয়ে বলেন, 'মা মাটি মানুষের জন্য পুজো দিয়েছি। সবার ভাল হোক। জয় জগন্নাথ।'