৫০ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূলের জেতা আসন সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। বাম সমর্থনে হাত শিবিরের প্রার্থী জিতলেন প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। উচ্ছাস চেপে না রেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর খোলাখুলি বললেন তৃণমূলকে উৎখাতে জোটই মডেল। পাল্টা মমতার চ্যালেঞ্জ, 'তৃণমূলকে ওড়ানোর সাহস যে দেখাবে তাকে চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের রাজনৈতিক কুনাট্য আমরা ক্ষতম করবই। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।'
Advertisment
সাগরদিঘিতে বিজেপির ভোট জোটে প্রার্থী বায়রনের সমর্থনে ইভিএম বন্দি হয়েছে। অকপটে তা স্বীকার করে নিয়েছেন অধীর। এ জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'অনৈতিক জোটের কথা আমরা শুরু থেকেই বলেছিলাম। যার বিরুদ্ধে আমরা লাগাতার বলেছি। ভোটের ফল দেখলেই বুঝবেন এবার বিজেপির ভোট কংগ্েসের দিকে গিয়েছে। একুশ সালে কংগ্রেস-বামেদের ভোট গিয়েছিল বিজেপির দিকে। এদের শুধু দেওয়া-নেওয়ার খেলা। মজা হল এতদিন চুপি চুপি সব হচ্ছিল। কিন্তু সেটাই আজ অধীর চৌধুরী স্বীকার করে নিয়েছেন। সত্যটা বলার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
মমতার সংযোজন, 'আজ তো কংগ্রেস বিজেপির কাছে কৃতজ্ঞ। এরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে কী করে? তাই শুধু মুখে লড়াই করে।' তৃণমূল নেত্রীর সাফ ঘোষণা, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে কারোর সঙ্গে জোট করবে না জোড়-ফুল। মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হবে। একাই লড়াই করবে সব আসনে। ফলে ফের প্রশ্নের মুখে বিজেপি বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'সাগরগিঘিতে কংগ্রেস জিতলেও নীতিগতভাবে হেরেছে। ওরা সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছে যা লজ্জার। আমরা হেরেছি, গণতন্ত্রে এটা হয়। আমি এ জন্য কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমরা ফের লড়ে সব ঠিক করে নেব। তবে এটা আমাদের সকলের কাছে শিক্ষা।'