অসমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর জন্য আটকে থাকা অর্থ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খরচের প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে হবে। জেলা প্রশাসনগুলোকে এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির প্রশাসনকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারের তালিকায় ছিল পাঁচ জেলা- বীরভূম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান। তবে ভার্চুয়াল এই প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন ১৪ জন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। সেখানেই উন্নয়ের কাজ কাজ শেষ করার সময় নির্দিষ্ট করে দেন মমতা।
গ্রামীণ রাস্তার কাজও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করার জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ জেলার (বীরভূম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান) অনির্মীয়মাণ রাস্তার কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'এরপরই পুজোর মরসুম চলে আসবে। কর্মীরা ছুটিতে চলে যাবেন। ফলে দ্রুত গতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা আগামী মাসের শেষের দিকে কোভিড মহামারী পরিস্থির কিছুটা উন্নতি হবে। তারপর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে তিনি জেলা সফরে যাবেন বলে এ দিন জানান।
রাজ্য সরকারি আমলাদের একাংশের মতে ২০২১ বিধানসভা ভোট আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী। যা বিবেচনা করেই দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক আমললার কথায়, 'রাজ্যজুড়ে রাজ্যজুড়ে বহু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে, এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যবহারের ছাড়পত্র প্রয়োজন। যা বুঝেই মঙ্গলবার তড়িঘড়ি কাজ শেষ করারর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ ও সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।'
মমতার কথায়, বুধবার ক্যবিনেট বৈঠকের পর একযোগে থমকে থাকা কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। যা রেকর্ড বলেও জানান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে অনবরত বষ্টি হয়ে চলেছে। ফলে চাষের জমিতে জল জমেছে। সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একশ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষের জমিতে জমা জল পাম্পের মাধ্যমে বার করে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন