শুক্রবারের বিধানসভায় একেবারে অন্য ছবি। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া নিয়ে তাঁর ঘরে সাক্ষাৎ করে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ তিন বিজেপি বিধায়ক। যা গত দেড় বছরে প্রথম। সৌজন্যের এই নজিরর অবশ্য এ দিন বিধানসভায় নবনির্মিত সংগ্রহশালা উদ্বোধনে বজায় রইল না। অনুষ্ঠাণে হাজির ছিলেন না বিরোধী দল বিজেপির কোনও বিধায়ক। যা নিয়ে উদ্বোনী মঞ্চেই ভাষণের শুরুতেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'সকলে এসেছেন আমি আনন্দিত, তবে আরও খুশি হতাম যদি বিরোধী দলের বিধায়করা এখানে আসতেন।'
Advertisment
এরপরই বিধানসভার অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, 'স্পিকার আপনি কি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন?' আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে জবাব দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নামটা তো বড় ব্যাপার নয়। বিধানসভার অনুষ্ঠানে স্পিকার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন এটাই বড় বিষয়। যাইহোক আমি সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। বিরোধী দলের বিধায়করা এলে একটা ঐতিহাসিক বিষয়ের সাক্ষী থাকতে পারতেন।'
২৬শে নভেম্বর সংবিধান দিবস। কিন্তু, রাজ্য বিধানসভায় এক দিন আগে শুক্রবারই হল সংবিধান দিবস উদযাপন। উদ্বোধন করা হল নবনির্মিত সংগ্রহশালার। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।
দিন কয়েক আগেই শুভেন্দু অধিকারী সংগ্রহশালা উদ্বোধনে প্রথা ভেঙে বিধানসভার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে নাম না রাখার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা জানান, বিধানসভায় একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন হতে চলেছে। সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছে ভবনটিতে। শুক্রবার সেটির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানের যে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে তাতে নাম নেই বিরোধী দলনেতার। আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিধানসভায় প্রথা ভাঙা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও এই প্রথা ভাঙা হয়নি।
তবে, শুক্রবার দুপুরের মুখ্যমন্ত্রী-বিরোধী দলনেতার সৌজন্য সাক্ষাত, তার আগে শুভেন্দু অধিকারীকে 'স্নেহের এক ভাই' বলে সম্বোধনের পর মনে হয়েছিল সংগ্রহশালা উদ্বোনে যাবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক সহ বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্বের ঘোষণা মতই এ দিনের অনুষ্ঠান বয়কটই করলেন বিরোধী বিধায়করা।