শনিবার মধ্যরাতে রাজ্যপালের জোড়া চিঠির বিষয়বস্তু কী? তা নিয়ে নানা জল্পনা। সোমবার দুপুরে সিভি আনন্দ বোস চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে মুখ না খুললেও সাফ জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে প্রাপক এপ্রসঙ্গ প্রকাশ্যে আনতেই পারেন। তারপরই বিকেলে ওই চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন বিষয়ে রাজ্যপালের ওই গোপন চিঠি তাও খোলসা করলেন।
চিঠি নিয়ে কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
সোমবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে শনিবার রাতে তাঁর উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে মমতা বলেন, 'আমি বাইরে যাচ্ছি, তাই উনি শুভকামনা জানিয়েছেন।'
চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যপালের মন্তব্য-
এর আগে দুপুরে চিঠির বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে রাজ্যপাল বলেছিলেন, 'গোপন জিনিস গোপন থাকা ভাল। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁর ব্যাগের বোঝা বাড়াতে চাই না। টেনশন দিতে চাই না। আসলে কথা হবে। এই বিষয়ে প্রাপক উত্তর দিতে পারেন।'
শুভেন্দুকে পাল্টা মমতার!
রাজ্যপালের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন বলে দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটা ব্যক্তিগত চিঠি। প্রকাশ্যে আনব কেন? এই চিঠির সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই।'
উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজভবন-নবান্ন বিরোধ তুঙ্গে। এর মাঝেই গত শনিবার কেন্দ্র ও মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের মধ্যরাতের চিঠি নয়া মাত্রা যোগ করেছল। চিঠির বিষয়বস্তু না জানানোয় জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এ দিন সকালেও এ নিয়ে মুখ খোলেননি রাজ্যপাল। শেষ পর্যন্ত ওই চিঠি প্রসঙ্গে সব লুকোচুরির নিরসণ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রী, বিভিন্ন ইস্যুতে গত কয়েক দিন পাপস্পরকে চোকা চোখা বাক্যবাণের বিদ্ধ করেছেন উভয়ই। আচমকা এ দিন থেকে উভয়রের মুখেই কিছুটা ভিন্ন সুর নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাবুলে রুষ্ট মমতা, লোকসভার আগেই সরালেন বড় দায়িত্ব থেকে, গুরুত্ব বাড়ল কাদের?