কৃষ্ণনগরে সভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বিধবা ভাতা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন তারাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন বলে আরও একবার বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নভেম্বর মাস ধরে রাজ্যব্যাপী চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। ওই শিবির থেকেই এই দুই ভাতার সুবিধা নিতে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন আগ্রহীরা।
এর আগের নিয়ম অনুসারে যাঁরা বিধবা ভাতা পেতেন তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন না। আবার যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন তাঁরা বিধবা ভাতা বিধবা ভাতা পেতেন না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সিদ্ধান্তে আগেই এই নিয়মের বদল ঘটেছে। দুই ভাতাই একসঙ্গে মিলবে। যদিও অনেকের মধ্যেই তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। যা মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের ঘোষণায় মিটবে বলেই আশা প্রশাসনের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়া এ দিন বলেছেন, 'আগে নিয়ম ছিল যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন তারা বিধবা ভাতা পাবেন না বা যারা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না। কিন্তু আমি এটা আগেই বদল করে দিয়েছিলাম। আমার মায়েরা, দিদিরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং বিধবা ভাতার সুযোগ একসঙ্গে পাবেন। এটা তাদের প্রয়োজন রয়েছে। দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছে আপনারা সেখানে গিয়ে আবেদন করুন।'
রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পায় না। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ফের নবান্ন আপিল করেছে সুপ্রিম কোর্টে। মমতা সরকারের দাবি, রাজ্যের কোষাগারে অর্থের টানাটানি রয়েছে। বর্ধিতহারে ডিএ দিলে কোষাগারে টান পড়বে। পদ্ম শিবিরের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া। ফের ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। তা না পেলে ইংরেজি নতুন বছর থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, বিজেপি বিভ্রান্ত করছে বাংলার মানুষকে। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ দেয় না। এর মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস পরিষেবা এবং ভাতা বন্ধ হবে না।