বাংলা রাজনীতির পালাবদলের সাক্ষী সিঙ্গুর। একই সঙ্গে সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের রাজনৈতিক উত্থানে মাইলফলক। সেই সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়াতেই শুক্রবার গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন সন্তোষী মায়ের মন্দির।
এই মন্দির নির্মাণের নেপথ্যে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা উদ্বোধনী মঢ্চে বক্তৃতাতেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেত্রী বলেন, ‘যদি কৃষি জমি আন্দোলনে আমরা জয়লাভ করি তবে মায়ের একটা মন্দির করে দেব। আমার এটা মানসিক ছিল। আপনারা সিঙ্গুরে জমি আন্দোলন করে জয়লাভ করেছেন, জমিও ফেরৎ পেয়েছেন, আমরাও সামর্থ্য অনুসারে যতটা পেরেছি সাহায্য করেছি। যাইহোক মানসিক পূরণ হয়েছে।’

মমতার সংযোজন, ‘পাঁচ-ছয় বছর আগে আমি বেচাকে বলেছিলাম একটা ছোট্ট জায়গা দিতে হবে। ও তখন আমাকে বলেছিল কেন দিদি? ছোট নয়, বড় জায়গাই দেব। আমি বললাম আরে আমার থাকার জন্য নয়, একটা মন্দির করতে হবে। এটা আমি কথা দিয়েছিলাম। মা আমার কথা শুনেছেন। তোমরা জিতেছ। ধর্ম ব্যাপারটা হৃদয়কে কেন্দ্র করে। এটা মনের শক্তি ও ভক্তির টান। আমি সব ধর্মকে ভালোবাসি। সব ধর্মস্থানে যাই।’

এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেচা কয়েক মাস আগে সব ব্যবস্থা করেছে বলে আমায় জানায়। তখন আমি এই মন্দিরটা তৈরি করালাম। এই মন্দিরটা ২০১৯ সালে হয়েছে। এই মন্দিরে এক কৃষকভাই পুজো করেন। উদ্বোধনের জন্য আমি তো আসতে চাইছিলাম না।কিন্তু মন টানল। সন্তোষী মায়ের পুজোয় ১৬ সপ্তাহ ব্রত রাখতে হয়। একটা ঘটে জল বসিয়ে রাখতে বলেছিলাম ওদের। বাচ্চাদের খাইয়ে আজ ব্রত উদযাপন করলাম।’
আরও পড়ুন- ‘তৃণমূল করলেই চাকরি!’, মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরতেই বিতর্কের আগুনে ঘি অনুপমের
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সিঙ্গুরে কোচ কারখানা হচ্ছে। সেই কারখানা উদ্বোধন করতে আসতে হবে তাঁকেই।