এবার দুর্গাপুজোয় খাস কলকাতায় জাতির জনককে মহাত্মা গান্ধিকে অসুররূপে দেখানোর জন্য বিরাট বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সর্বত্র নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার এই পুজোয় এমন বিতর্কিত ঘটনার জন্য পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, "লজ্জায় আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে। এরকম কোথায় হয়? এটা সত্যি লজ্জার।"
Advertisment
রুবি পার্কের ওই পুজো আয়োজন করে হিন্দু মহাসভা। আর সেই পুজোয় গান্ধিজিকে অসুররূপে দেখানো হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে কলকাতা পুলিশের তরফে হস্তক্ষেপ করা হয়। রাতারাতি পাল্টে দেওয়া হয় অসুর মূর্তি। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়।
এদিন মমতা বলেন, "দুর্গাপুজোর নামে এসব বরদাস্ত করা যায় না। আমরা কোনও শাস্তি দেব না, জনতা শাস্তি দেবে। মা দুর্গা গান্ধিজিকে ত্রিশূল দিয়ে মারছিলেন। আমাদের নজরে আসার পর পুলিশ দ্রুত সেই মূর্তি সরিয়ে দেয়। আমরা কোনও গন্ডগোল চাইনি। তাই কাউকে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু এসব কি সহ্য করা যায়? মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না। দেশনেতাকে অসুর বানানো হয়েছিল। এটা ভেবেই লজ্জা লাগছে। সেদিন থেকে আমি দুঃখী, কিন্তু কিছু বলিনি। চাইনি এটা নিয়ে বিতর্ক হোক। কারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতেন।"
এবার নাম না করে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। বলেন, "কী ভেবেছ চারটি বাইক নিয়ে আন্দোলন হয়ে যায়! না পুলিশকে দুটো লাঠি মারলে আন্দোলন হয়ে যায়? না এজেন্সিকে দিয়ে আন্দোলন হয়! এখন ক্ষমতায় আছো তাই খুব এজেন্সি দেখাচ্ছে, কাল যখন ক্ষমতায় থাকবে না তখন এই এজেন্সি তোমার ঘরে গিয়ে তোমার দুই কান মলে দেবে। সেদিনের জন্য তৈরি থাকো। একদিন এমন দিন আসবে এরা যে অত্যাচার করেছে, অপমান করেছে মনীষীদের, সেদিন জনগণ জনতার দরবারে গণতন্ত্র দিয়ে এঁদের কান মুলে দেবে।"
এদিন অনুষ্ঠানে দেরিতে আসার কারণ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি গিয়েছিলাম একটু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। উনি আজকেই এসেছেন। ওনার শরীর ভাল নেই। তাই দেখা করে বিজয়া সেরে নিলাম। দেরির জন্য খুব সরি।"