পুলিশের বিরুদ্ধেই এবার চরম বিরক্তি প্রকাশ করে সরব হলেন পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পথ নিরাপত্তার নাম করে ভুয়ো মামলা জুড়ে দিয়ে কেন টাকা তুলছে পুলিশ? এ নিয়েই এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ডিজির পাশে বসেই এ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন মমতা। পাশাপাশি নির্দেশের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর নামে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে কেন? কেন এত মামলা করা হচ্ছে? একইসঙ্গে মমতার নির্দেশ, যদি কেউ আইন ভেঙে থাকেন তবেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, অযথা হয়রানি করবেন না।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জনপ্রতিনিধিদের কাটমানি ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কাটমানির রেশ থাকতে থাকতেই এবার পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে যেভাবে সরব হলেন মমতা, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এক্সক্লুসিভ শোভন: মমতাকে তৈরি করতে সব নষ্ট করে জীবন দিয়েছিলাম, আর উনিই রাজনীতি করলেন
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর নামে বহু মামলা করা হচ্ছে। যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করেন, তবেই ব্যবস্থা নিন’’। এরপরই ডিজির পাশে বসে মমতা বলেন, ‘‘আমি এ নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গেও আলোচনা করেছি। আপনার এসপি-দের সঙ্গে কথা বলুন। এই পরিস্থিতি সামলান। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রত্যেকে এই অভিযোগ করছেন। কেউ অন্যায় করলে, ব্যবস্থা নিন। কিন্তু বহু মামলা করা হচ্ছে। আমাদের একটু মানবিক হতে হবে’’।
চা বানাচ্ছেন মমতা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখী ‘ভাত-ডাল’, মত দিলীপের! মানে বুঝলেন না ‘অসন্তুষ্ট’ বৈশাখী
এরপর মমতা বলেন, ‘‘এজন্য আধিকারিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রয়োজনে কোলাঘাট থেকে দিঘা যাওযার রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়ে নজরদারি করুন...কেন বুঝতে পারছেন না, পুলিশ কিছু খারাপ কাজ করলে, সরকারের বদনাম হয়’’।
অন্যদিকে, বুধবার দিঘায় একটি চায়ের দোকানে অন্য মেজাজে পাওয়া গিয়েছে মমতাকে। আচমকাই স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে গিয়ে চা বানান মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমি নিতান্তই একজন সাধারণ মানুষ। এসব করতে ভালই লাগে। বাড়িতেও চা বানাই। আজ আমার মন্ত্রীদের জন্য চা বানালাম। আমি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই’’।
Read the full story in English