তাঁর আমলে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই বামেদের ৩৪ বছরের জমানার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা সিপিআইএম নেতা, কর্মীরা প্রশ্ন করেন কেন তাহলে তাঁদের গ্রেফতার করা হল না। শনিবার শালবনীতে জনসংযোগ যাত্রার মঞ্চ থেকে আলিমুদ্দীন স্ট্রিটের নেতাদের সেই জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী টেনে আনলেন রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মনের কথাও।
শালবনীতে এদিন বিজেপির পাশাপাশি সিপিআইএমকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বামেদের আক্রমণ করতে গিয়ে শুরুতেই মমতা বলেন, 'কারও যদি নম্বর ৯০ থাকে তাকে টেনেটুনে এক দুই নম্বর দিয়ে ৯২ করা যেতে পারে। কিন্তু, কেউ যদি শূন্য থাকে তাকে ৯২ করা যায় না।'
তুলে ধরেন সেই 'বদলা নয়, বদল চাই' স্লোগান। তারপরই বলেন, 'আমরা গুজরাটের ভাজপা সরকার নই, আমরা উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার নই, আমরা কেরলের সিপিএম সরকার নই। আমরা তৃণমূল সরকার। আমরা মানুষের উপর বদলা নিই না। একটাই কথা বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। তাই এত অত্যাচারের পরও আমাদের কর্মীদের রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি গাইতে বলেছিলাম। বদলা না নেওয়া কি আমার অপরাধ ছিল বন্ধু? তবে এ কথা বললেই, অনেক সময়ে সিপিএম বলে, তাহলে আমাদের গ্রেফতার করলেন না কেন? আরে গ্রেফতার করলে তো তোদের সবাইকেই করতে হত।'
আরও পড়ুন- ‘মণিপুরের মত বাংলাতেও জাতিদাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা বিজেপির’, বড় আশঙ্কা মমতার
এরপরই প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মনের কথা বলতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'সুব্রতদা আজকে বেঁচে নেই। উনি মাঝেমাঝে আমাকে বলতেন মমতা তোর বড় দোষ! তুই এই সিপিএমটাকে ক্ষমা করে দিলি কেন? আমি বলতাম কেন সুব্রতদা? তখন উনি বলতেন জানিস রেশন যেমন সপ্তাহে একদিন করে দেয়, তেমনই এরা যা অন্যায় করেছে তাতে ওদের সপ্তাহে একদিন করে পেটানো উচিত। আজ উনি বেঁচে নেই। কিন্তু ওনার কথাটা আমার মাঝেমাঝেই মনে পড়ে।'
শেষে মমতা বলেন, 'মারব না আমরা কাউকে। পাপের মার বিচুটি পাতা দিয়ে ঘষলেই চলে যাবে।'