করোনা কালে আমুল বদলেছে শিক্ষা ব্যাবস্থা। মা-মাটি মানুষের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় উজ্জ্বল দিক, এদিন নেতাজী ইন্ডোরের সরকারি অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন থেকে ট্যাব খামতি থাকেনি কিছুতেই।
এদিন, সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষক থেকে অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা। অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে বিভেদ, সেও অনেকটাই কমেছে বলেই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "একটা সময় একেবারেই নম্বর পেত না ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল কলেজে হাত চেপে নম্বর দেওয়া হত, আমরা নম্বরই পেতাম না। এখন বেশীরভাগ ৮০/৯০ করে নম্বর পাচ্ছে, কেন জানো? আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবকিছু পাল্টে গেল। আমি বললাম, 'cbse আছে, icse আছে ওদের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে তো। ওদের ছেলেমেয়েরা ৯৮/৯৯ পাবে, সেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা নম্বর পাবে না, প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে কি করে? বাড়িয়ে দাও নম্বর। এমন ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করো যেন সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারে ওরা'।"
আরও পড়ুন < দুর্নীতি ইস্যু: বারংবার ভুল তত্ত্বেই জোর মমতার >
করোনা কালে পড়ুয়াদের কথা চিন্তা করেই নানান ব্যবস্থা গ্রহন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বেড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১১ বছরে ৩০ টা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, কম করে ৭০০০ স্কুল- রাজ্যে পড়াশোনায় সুযোগ এখন আকাশছোঁয়া। জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে নতুন মেডিক্যাল কলেজ। ডাক্তারিতে বাড়ল আরও ৬০০টা সিট।
ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে নিজের প্রাণ ঢেলে কাজ করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যেন প্রযুক্তির দিকে তাঁরা পিছিয়ে না পরে। তাঁর বক্তব্য, একসময় আমরা পাইনি তাই বলে আমার ভাইবোনেরা পাবে না? এছাড়াও রাজ্যে কন্যাশ্রী থেকে ঐক্যশ্রী, মেরিট কাম স্কলারশিপের কথাও বললেন তিনি।