ডক্টরস ডে-তে চিকিৎসাক্ষেত্রে একগুচ্ছ প্রস্তাবের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এসএসকেএমে ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২৫০টি বেড সম্পন্ন এই ট্রমা সেন্টারে পাওয়া যাবে সুপার স্পেশালিটি ট্রিটমেন্ট। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলিকে মাল্টি সুপার স্পেশালিটিতে উন্নীতকরণের কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের থেকে আগত রোগীরা যাতে কম দামে সঠিক ওষুধ পেতে পারেন সেই জন্য আরও ১৬৬টি ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান তৈরির কথাও বলেন মমতা। এইমসের ধাঁচে সব হাসপাতালেই 'পেয়িং কেবিন' চালু করার কথাও ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন এবার এক ফোনেই হাজির ববি হাকিম, কথা বলুন মেয়রের সঙ্গে
তবে রাজ্যে যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক নেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখন হাসপাতালগুলো অনেক আধুনিক হলেও প্রায় চার হাজার ডাক্তারের ঘাটতি আছে’’। এনআরএসকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে চিকিৎসকদের এদিন বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, " এই জায়গাটা ভালবাসার জায়গা, সেবার জায়গা। কোনও বিপদ হলে অনেক লোক জমায়েত হয়, বিক্ষোভের মুখে পড়েন ডাক্তাররা। হঠাৎ করে কিছু হলে সেটাই আমাদের মনে দাগ রেখে যায়। তাই এরকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে"। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ কিছু জায়গাকে চিহ্নিত করে সেখানে 'পথবন্ধু' হিসেবে স্থানীয় কয়েকজনকে রাখা হবে। যাঁরা হঠাৎ করে কোনও বিপদ হলে তৎক্ষণাৎ সামাল দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন মমতা সরকারকে কড়া নোটিস সুপ্রিম কোর্টের
অন্যদিকে, এদিন জলসঙ্কট নিয়েও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় 'জল বাঁচান জীবন বাঁচান' কর্মসূচি নেন। 'সেভ ওয়াটার, সেভ লাইফ' এই স্লোগানে ১২ জুলাই দুপুর তিনটের সময় জোড়াসাঁকো থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করার কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। প্রসঙ্গত,এ বছর চরম জলসঙ্কটে জেরবার চেন্নাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহর। এর মধ্যে জল সমস্যার সমাধানে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর মতো জল সংরক্ষণ নিয়ে রবিবার 'মন কি বাত'-এ সামাজিক আন্দোলন গড়ার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিছুটা সেই সুরেই এদিন মমতা জলসঙ্কট ইস্যুতে সরব হলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।