দিল্লির ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ করতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে মোদী সরকার। যার বিরুদ্ধে সরব দিল্লির আপ সরকার থেকে অন্যান্য বিজেপি বিরোধীকে দলগুলো। ওই 'বিতর্কিত' অর্ডিন্যান্সকে স্থায়ী রূপ দিতে কেন্দ্র সংসদে বিল আনতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসভায় ওই বিলের বিরোধিতা করবে তৃণণূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় এখনও পুরোপুরি সংখ্যাগরিষ্ঠ নয় গেরুয়া দল। ফলে ওই বিলকে কেন্দ্র করে উচ্চকক্ষে বিরোধী দলগুলো এক হলে মোদী সরকারকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর ২৪য়ের লোকসভার ভোটের আগে যা হতে পারে মোদী সরকারের কাছে বড় ধাক্কা। দিল্লির মুখমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পাশে বসিয়ে নবান্নে সেই সুযোগকেই কাজে লাগাতে মরিয়া চেষ্টার কথা জানিয়ে রাখলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কেজরিওয়াল বললেন, ২০২৪-এর আগে সেটাই হবে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেমিফাইনাল।
মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান দিল্লির একাধিক মন্ত্রী ও আপ নেতাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যসভায় বিজেপি বিরোধী সব দল একজোট হলে ওদের হারানো যাবে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে হারানোর সুযোগ এসেছে। মিরাক্যাল কিছু ঘটলে অবশ্য লোকসভা ভোটের আগেই মোদী সরকারের পড়ে যেতে পারে।'
দিল্লি সরকারের হাত থেকে আমলাদের বদলি ও পোস্টিংয়ের অধিকার নিজের হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় উল্টে দিতে গত শনিবার রাতে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই অর্ডিন্যান্স যাতে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে বিল এলে আইনে পরিণত করতে না পারে সে জন্য উদ্যোগী হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা কেজরিওয়াল। তিনি চাইছেন রাজ্যসভায় বিলটি আটকে দিতে। আর এতেই কেজরির পাশে আছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিলের প্রতিবাদ অন্যান্য় সব বিরোদী রাজনৈতিক দলগুলোরও করা উচিত বলে জানান তিনি। অর্থাৎ, ২৪য়ের লোকসভাকে নজরে রেখে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে একজোটেরও একটা চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
এই বিল প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন কেজরিওয়ালও। বললেন, 'একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আমাদের পক্ষে যেতেই এক সপ্তাহের মধ্যে অর্ডিন্যান্স নিয়ে এল। যে সব জায়গায় বিজেপি নেই, সেই সব রাজ্যে ইডি-সিবিআই দিয়ে নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে শুরু করেছে।'
আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই পারে দেশকে বাঁচাতে।'