করোনাতঙ্কে কাটিয়ে দুবছর পর চুটিয়ে দুর্গাপুজোয় জনসমাগম হয়েছে। বাঁধভাঙা ভিড়, বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে উৎসবপ্রেমী বাঙালির মধ্যে। শুধু বাঙালি কেন, এ রাজ্যে অবাঙালি, অন্য ভাষাভাষির মানুষও দুর্গোৎসবে শামিল হয়েছেন। এবার পুজোর মরশুমে রাজ্যের ৫০ হাজার কোটি টাকার আয় হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোকে ঘিরে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এবার একই সুর মমতার গলাতেও।
আর সেই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণ সভাঘরে বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এ বছর পুজোকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। ক্লাবকে কেন টাকা দিলাম জিজ্ঞেস করেন যাঁরা, তাঁরা কি জিজ্ঞেস করেন, ফুচকাওয়ালার ফুচকা কেমন খেলে, ঝালমুড়ি কেমন খেলে, বা রোলটা কেমন খেলে? সারারাত ঘুরে বেড়ানোর সময় টুকটাক খাবার যদি না থাকে, জিনিস না কেনা হয় তাহলে কেমন লাগবে!"
তিনি আরও বলেন, "পুজোর সময় সবচেয়ে বেশি লাভ হয় গরিব মানুষের। কত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। ঢাকিওয়ালার বলুন, কত ঢাক আসে। আজকাল মেয়েরাও ঢাক বাজাচ্ছে, ধামসা বাজাচ্ছে। ইদের সময়ও আলো দিয়ে প্যান্ডেল সাজায় আজকাল। বড়দিনেও আমরা উৎসব করি, অনেক অনুষ্ঠান হয়। আদিবাসীদের উৎসব হয়।"
আরও পড়ুন ‘ক্ষমতায় না থাকলে এই এজেন্সিই কান মুলে দেবে, তৈরি থাকো’, বিজেপিকে তোপ মমতার
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, পুজোর মরশুমে বাংলার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। পুজোকে ঘিরে আর্থিক উন্নতির জোয়ার এসেছে বলে জানান তিনি। এবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ। আগামী ৫ বছরে তা বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা হবে বলে আশা তাঁর।