মোদীর ‘চায়ে পে চর্চা’ ঘিরে সরগরম হয়েছিল গোটা দেশ। এবার মমতার ‘চর্চা পে চা’ আলোড়ন ফেলে দিল বঙ্গ রাজনীতিতে। ‘ছিল চাওয়ালা, হয়ে গেল চৌকিদার’, উনিশের নির্বাচনী প্রচারে মোদীকে বিঁধে মমতার মুখে ছয়লাপ হয়েছিল এ স্লোগান। সেই চা-ই এবার মোদী-মমতাকে যেন মিলিয়ে দিল। এ যে আরেক ‘চায়ে পে চর্চা’। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে আচমকাই গিয়ে নিজে হাতে চা বানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চা আবার দলের মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে খাওয়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ‘দিদি’র হাতে বানানো চা খেয়ে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘‘দারুণ চা’। বুধবার এমন ঘটনারই সাক্ষী হয়ে রইল দিঘা।
Chai pe charcha? Mamata Banerjee stops at a tea stall in Digha
Check out our Bangla website (@ieBangla) here: https://t.co/LYwgZvwE2J@MamataOfficial pic.twitter.com/7meANxy0OQ
— The Indian Express (@IndianExpress) August 22, 2019
আরও পড়ুন: তোলাবাজি নিয়ে পুলিশকে ভর্ৎসনা মমতার
মমতার হাতে তৈরি চা খেয়ে আরেক তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী বললেন, ‘‘ওঁকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। বাড়িতে যেভাবে চা বানিয়ে খাওয়াত ও। আজও সেভাবে খাওয়ালো’’। মমতার আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন, ‘‘অভূতপূর্ব, দারুণ’’। মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে নিজের হাতে বানানো চায়ে চুমুক দিতে দিতে তৃণমূল সুপ্রিমো হেসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘চা ভাল হয়েছে তো?’’
Sometimes the little joys in life can make us happy. Making and sharing some nice tea (cha/chai) is one of them. Today, in Duttapur, Digha | কখনো জীবনের ছোট ছোট মুহূর্ত আমাদের বিশেষ আনন্দ দেয়। চা বানিয়ে খাওয়ানো তারমধ্যে একটা। আজ দীঘার দত্তপুরে। #Bangla pic.twitter.com/cC1Bo0GuYy
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 21, 2019
চা বানাতে বানাতে মমতা বলছিলেন, ‘‘আমি তো এসব করতে অভ্যস্ত। বাড়িতে ছোটোবেলা থেকে অনেক কাজ করি। আমরা সাধারণ মানুষ। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এখন হয়তো সময় পাই না। তবে রান্না করতে ভীষণ ভাল লাগে’’। চা বানানো শেষে মমতা বললেন, ‘‘দ্যাখো, চায়ের কালার’’। পরিবেশন করতে করতে আবার অভিভাবকের মতো মমতা বললেন, ‘‘হাত যেন পুড়ে না যায়, গরম আছে’’।
এহেন ‘চায়ে-পে চর্চা’র আগে অবশ্য এলাকারই এক খুদেকে কোলে নিয়ে মাততে দেখা গেল মমতাকে। বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বললেন, ‘‘ভারী মিষ্টি’’। এতেই শেষ নয়, বাচ্চাটির হাতে একটি কেকও তুলে দিলেন মমতা।
উনিশের নির্বাচনী ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে জনসংযোগে জোর দেওয়ার দাওয়াই দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগে তাঁর যে জুরি মেলা ভার, সেকথা একবাক্যে মানেন রাজনীতির কারবারিরা। দীঘার চা দোকানে মমতার এহেন অবতার জননেত্রী মমতাকেই মনে করাল বলে অভিমত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।