G20 শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই নৈশভোজে যোগ দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ওই নৈশভোজে যোগ দেবেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরাও। সেখানেই যোগ দেওয়ার কথা মমতার।
Advertisment
প্রসঙ্গত, এই নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রেই প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুললেও বিরোধী দলগুলি বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানে নৈশভোজে উপস্থিত থাকার সিন্ধান্ত নিয়েছেন। এই নৈশভোজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। মমতার সঙ্গে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বের কথা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে এই নৈশভোজে যোগ দিতে মমতা ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পৌঁছবেন বলে জানা গিয়েছে। পরের দিনই কলকাতায় ফিরবেন তিনি। তার একদিন পরেই বিদেশ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর ফের দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিকে, মঙ্গলবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ইন্ডিয়া নাম পাল্টে ভারত করতে চাইছে বিজেপি। ভারত তো বরাবরই ছিল। ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো, এটা তো আমরা জানি। আমরা তো সবসময় ভারতকে সম্মান করি, ভারত নিয়ে তো কোনও সমস্যা নেই। তাহলে হঠাৎ কেন ইন্ডিয়া বাদ দেওয়া হচ্ছে। মাননীয় রাষ্ট্রপতির তরফে আমন্ত্রণপত্রে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এই ভাবে নাম পাল্টানোর কাজ করছে বিজেপি। এবার তো রবি ঠাকুরের নাম পাল্টে ফেলবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পাল্টে দিচ্ছে। সবকিছুর নাম পাল্টে দিচ্ছে। ইতিহাস পাল্টে ফেলা হচ্ছে। সারা বিশ্ব দেশের নাম ইন্ডিয়া হিসাবে পরিচিত। হঠাৎ সেটা পাল্টানোর কী দরকার পড়ল।”