গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে বসেই শহরের দু'টি বড় পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার তৃণমূলের মুপপত্র 'জাগো বাংলা'র শারদ সংখ্যার সূচনা হল একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। পায়ের ক্ষত কমছে বলে গত পরশু জানিয়েছিলেন 'দিদি'। তারপর ৪৮ ঘন্টা অতিক্রান্ত। এখন কী অবস্থা? এদিন তাও খোলসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পায়ের ব্যথার কারণে এখনও ভর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেখা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে ভর দিয়ে কোনওরকমে হেঁটে এসে নিজের আসনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তাখে বলতে শোনা যায়…
'জীবন-মৃত্যুর মধ্যে থেকে লড়াই করে বেঁচে আছি'
'আজকে মহালয়া৷ আমি ওখানে যেতাম। কিন্তু পায়ে একটা বড় সংক্রমণ হয়ে গেছিল। তবে আমার সংক্রমণ এখন অনেক কমেছে৷ আমাকে এই ১৫ দিন অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে৷ জীবন-মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি৷ আমার অপরেশনের পরে সংক্রমণ হয়৷ পায়ের সমস্যা কয়েকদিনে সেরে যাবে৷'
কেন এই সংক্রমণ?
'হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেছিলাম। তারপর বার্সেলোনায় গিয়ে চোট পেয়েছি। তারপরেও ওখানে কাজ করে গেছি। কলকাতায় ফিরেই ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। তারপর পায়ে একটা অস্ত্রোপচার হয়। সেই অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতস্থানে প্রচণ্ড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। এরপর স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। আমি মানসিকভাবে সুস্থ, শারীরিকভাবেও সুস্থ। পায়ের ব্যথাটা আশা করি ক'দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।'
মমতার বার্তা
'দেবী হল আমাদের মা৷ দেবী দুর্গাকে আবাহন করুন৷ ধর্ম আপনার আপনার, উৎসব সবার৷ কোনও বিদ্বেশ নয়, সবাই আমরা এক৷ কে কী বলল তাতে কান দেবেন না। নেতিবাচক ব্যাপার এড়িয়ে চলুন। পরস্পরকে ভালবেসে এই শারদ উৎসব উপভোগ করুন।'
মমতার আবেদন
'জাগো বাংলার টিম পরিশ্রম করে খবর পৌঁছে দেয়৷ আজকাল কেউই নিরপেক্ষ নয়৷ একপক্ষ৷ তবে জাগো বাংলা অনেকটাই নিরপেক্ষ৷ আমরা আজও বিজ্ঞাপন নিই না৷ সবাইকে অনুরোধ করব, পুজোর সময়ে স্টলে জাগো বাংলা রাখুন৷ এ ছাড়া একাধিক বই লেখা হয়েছিল৷ বিশেষ করে যে বই থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে জানতে এই বইগুলো পড়ুন'