করোনায় কাবু বাংলা। বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবাসীকে সুরক্ষিত রাখতে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের কাছে বাড়তি ওষুধ ও প্রতিষেধক চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও টুইটবার্তায় জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের সব আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু বাংলা। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর টুইটবার্তায় আরও বেশকিছু পদক্ষেপের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিকল্পনা জানাতে আজ দুপুর ২টোয় মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করবেন।
টুইটবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'দেশজুড়ে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাংলার জনগণকে রক্ষা করতে সমস্তরকম প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। আমি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ওষুধ এবং ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেই সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সব শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি, যাতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কার্যকরী পদক্ষেপ করেন। এবং যে যে বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই করা হয়েছে, তা আরও ভালভাবে কার্যকর করা হয়।'
রাজ্যের তরফে দশ দফা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাস-ট্রেন বা গাড়ি, যে কোনও গণপরিবহণেই বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলিকে সপ্তাহে অন্তত এক বার স্যানিটাইজ করতেই হবে। দোকান-বাজার, কারখানায় কর্মচারী এবং গ্রাহক মিলিয়ে সার্বিকভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারি দপ্তরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কর্মীদের অফিসে আনতে হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ফের কর্মীদের দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কোনওরকম বিধি না মানলে বা অসতর্ক হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে রবিবারই জবাব চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রবিবারই টুইটে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, 'কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আর তা মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।' এছাড়াও মুখ্যসচিবকে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সিইওদের সঙ্গে রাজ্যপালের উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সিং করার বার্তাও দেন জগদীপ ধনকড়। তবে এখনও উত্তর মেলেনি বলে এদিন সকালে ফের টুইটে জানান রাজ্যপাল। পরে অন্য একটি টুইটে বলেন, 'রাজ্যের তরফে করোনার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ হল তা একটু পরেই মুখ্যসচিব আমাকে জানাবেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন