আচমকাই আদিবাসী গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, বাসিন্দাদের খোঁজ-খবরের সঙ্গেই রাঁধলেন আলু-বরবটির তরকারি

তিনি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসন তাঁর হাতে। কিন্তু বরারবরই পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ বজায় রেখেছেন মমতা। আচমকা এহেন গ্রাম তাঁরঘোরার দৃশ্য নতুন নয়।

তিনি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসন তাঁর হাতে। কিন্তু বরারবরই পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ বজায় রেখেছেন মমতা। আচমকা এহেন গ্রাম তাঁরঘোরার দৃশ্য নতুন নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গতকাল ছিল রাজনৈতিক কর্মসূচি। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে রোড শো করেছেন। আর আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চলে গেলেন সোনাঝুড়ি লাগোয়া আদিবাসী গ্রাম বল্লভপুরে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের খোঁজ খবর নিলেন। সঙ্গে গ্রামের এক দোকানে ঢুকে কড়ায় হওয়া আলু-বরবরবটির তরকারি রান্নাতেও খুন্তি নাড়লেন।

Advertisment

তিনি মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসন তাঁর হাতে। কিন্তু বরারবরই পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ বজায় রেখেছেন মমতা। আচমকা এহেন গ্রাম তাঁরঘোরার দৃশ্য নতুন নয়। উল্টে এটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। দুপুর বেলা বাড়ির দুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে গ্রামের বহু মানুষ ভিড় জমান। তুলে ধরেন তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার নানা কথা।

publive-image

কয়েকজন গ্রামবাসী রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধানকে বলেন তাঁদের গ্রামে একটিই পুকুর। সেখানেই সব কাজ করতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে সুরাহা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে ডেকে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজও দ্রুত করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisment

publive-image

এরপরই হাঁটতে হাঁটতে মমমতা পৌঁছে যান রাস্তার পাশের একটি হোটেলে। গরম কড়াইয়ে তখন আলু-বরবটির তরকারি রান্না হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই কিছুয়া হকচকিয়ে যান দোকানি। মুখ্যমন্ত্রী কড়াতে রাখা খুন্তি হাতে তুলে নেন। দোকারিকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে কনা। জবাবে 'এখনও করিনি' শুনেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের বিষয়টি দেখভালের কথা জানান।

রাঙা মাটির বীরভূমে আদিবাসী মানুষের বাস। ভোট বাক্সে তাঁদের প্রভাব রয়েছে। ভোটের আগে তাই আদিবাসী গ্রামে গিয়ে নিজস্ব কায়দায় মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন জনসংযোগ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mamata Banerjee Birbhum tmc