হাওড়ার শিবপুরের পর উত্তেজনা ছড়িয়েছে হুগলির রিষড়ায়। রবিবারের ঘটনার জন্যও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেছেন গেরুয়া শিবিরকে। পুরোটাই 'পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র' বলে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশঙ্কা আগামী বৃহস্পতিবারও ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে রাজ্যে।
Advertisment
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগর ময়দানে সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ই রিষড়ায় অশান্তির জায়গায় যাওয়ার পথে পুলিশের তরফে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজুমদারকে। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। সেই সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রশাসনকে বলব, ৬ তারিখটা খুব সতর্ক থাকুন। ওরা আবার দাঙ্গা করার প্ল্যান করতে পারে। তা যাতে করতে না পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে।'
আগামী ৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। ওইদিন বজরংবলীর পুজো হয়। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সবাই বজরংবলীকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দাঙ্গাবাজিকে সমর্থন করি না।’ এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে মমতার দাবি, ‘হাওড়ায় অনুমতি ছাড়া সংখ্যালঘু এলাকায় মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছিল। ইচ্ছে করে ওটা করেছিল। রমজান মাসে সংখ্যালঘুরা ফল খায়। সেই ফলের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে। কালকে রিষড়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে।'
পাশাপাশি হিন্দুদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, 'আমি হিন্দু ভাই-বোনেদের অনুরোধ করব, ওরা সংখ্যালঘু। ওরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা আপনাদের দেখতে হবে।'
শিবপুরের উত্তেজনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, অশান্তি হতে পারে তাঁর কাছে আগেই ছিল। পুলিশ প্রশাসনকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অসন্তো,ও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল নিয়ে প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কতা বেশ তাৎপর্যবাহী।