মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই বলেন, বাংলা আবারও ‘জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’। রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তৃণমূলনেত্রীর সেই বাসনা পূরণেরই যেন ইঙ্গিত। কন্যাশ্রীর পর বিশ্ব দরবারে এবার সমাদৃত হল রাজ্যের আরও দুই প্রকল্প। রাষ্ট্রসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্ট’-এর শিরোপা পেল ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প। একইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কারের দাবিদার ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পও বলে জানানো হয়েছে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের পর মমতা সরকারের এই দুই প্রকল্পের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলার মুকুটে নয়া পালক জুড়ল, বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন, কাশ্মীর হামলা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট লিখে সাসপেন্ড এলআইসি কর্মী
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ বা ‘দক্ষতা সৃষ্টি’ বিভাগে বিশ্বের ১৪৩টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে মনোনীত হয়েছে ‘উৎকর্ষ বাংলা’। তবে শেষ পর্যন্ত ‘উৎকর্ষ বাংলা’ সেরার সেরা হয় কিনা, তা জানা যাবে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল। সেদিনই জেনিভাতে রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক টেলি যোগাযোগ ইউনিয়নের সদর দফতরে পুরস্কার বিতরণ হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে সেরার শিরোপা দিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের দুই প্রকল্পের এহেন সাফল্যে মমতা বাহিনীকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উনিশের ভোটের লড়াইয়ের আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উন্নয়নমুখী দিক নিয়ে সমালোচনা করতে আসরে নেমেছে পদ্মবাহিনী। এ রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে বিঁধেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ‘‘বাংলার হাল খুব খারাপ’’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মোদী। রাষ্ট্রসংঘে মমতা সরকারের আরও দুই প্রকল্পের স্বীকৃতির জেরে বিজেপির সেই সমালোচনা যে ধোপে টিকবে না, তাও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।