এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎ নিয়ে 'সেটিং তত্ত্ব' তুলে ধরে ঝড় তুলেছিল এরাজ্যের বিরোধীরা। মোদী-মমতা বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়েই জোরদার জল্পনা চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেবার দিল্লি যাওয়া ইস্তক কটাক্ষ ছুঁড়তে দেখা গিয়েছিল বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের নেতাদের। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচান হবে আগেভাগেই সেসব খোলসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে আগামী মাসের ৫ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর। এপ্রসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, ''দিল্লিতে যাব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।''
শুধু তাই নয়, মোদীর সঙ্গে এবার তাঁর কী আলোচনা হবে, আগেভাগে তা বিধানসভায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ''জি-২০ সম্মেলন নিয়েই আলোচনা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সনদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আমিও দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে যাব।''
আরও পড়ুন- দার্জিলিং পুরসভা কার্যত হাতছাড়া হামরো পার্টির, কী ভূমিকা তৃণমূলের?
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে ভারতেই জি-২০-এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। একাধিক দেশের শীর্ষ নেতা সেই সম্নলনে উপস্থিত থাকবেন। জি-২০ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করতে ইতিমধ্যে জোরদার উদ্যোগ নিচ্ছে মোদী সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা নিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী।
আগামী বছরের জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক হতে পারে এরাজ্যেও। এবার দিল্লি গিয়ে মোদীর সঙ্গে সেই বিষয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনা করবেন । এবারের সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর আলাদা বৈঠক হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। দিল্লি থেকে হাতে সময় থাকলে রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফ ও পুস্করে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী।