বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী। অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতার সমালোচনা করতে গিয়ে কবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীর প্রেস বিবৃতিতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এহেন বিবৃতি দেখে যারপরনাই বিরক্তি প্রকাশ করেছে। এবার বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী অর্থনীতি অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রয়েছেন বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের। যদিও রাজ্যের পাল্টা দাবি, বিশ্বভারতীর তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বোলপুরে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে জমির কাগজ তুলে দিয়ে এসেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, যে অমর্ত্য সেনকে অপদস্থ করতেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই তৎপরতা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ কেন্দ্রীয় ওই প্রতিষ্ঠানটির জমি দখল করেননি বলেই মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণের চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘স্তাবক পরিবৃত মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন’, মমতার হুঙ্কারের পাল্টা এবার বিশ্বভারতী
বোলপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যাবতীয় তৎপরতার পরেই বিশ্বভারতীর তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। যার ছত্রে-ছত্রে তীব্র বিষোদগার ধরা পড়েছে। সম্প্রতি বিশ্বভারতী প্রেস বিবৃতিতে লিখেছে, 'পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন। কারণ তাঁকে তাঁর স্তাবকরা যা শোনান তাই বিশ্বাস করেন এবং টিপ্পনি করেন। গত ৩১ জানুয়ারি তিনি বোলপুরের রাঙাবিতানে বিশ্বভারতীর একজন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক, পাঁচজন ছাত্র ও একজন গবেষণারত ছাত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বিশ্বভারতীর সম্পর্কে বেশ কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন জনসমক্ষে।'
আরও পড়ুন- তৃণমূলকে কঠিন চ্যালেঞ্জ! সাগরদিঘি ছিনিয়ে নিতে ‘সেরা ঘোড়া’ মাঠে নামাল বিজেপি
সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর প্যাডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের বাক্যবন্ধ লেখা আসলে 'অপমান' হিসেবে দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।