/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/Mamata-Banerjee-3.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফের দিল্লির দরবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অভিষেককে সঙ্গে নিয়েই দিল্লিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠক-সহ একাধিক কর্মসূচি নিয়ে অগাস্টের শুরুতেই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ অগাস্ট দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন মুখ্যবমন্ত্রী। এছাড়াও নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন মমতা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, দিল্লির সফরকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। এসএসসির পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে পথে নেমে সোচ্চার বিরোধীরা। এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে বস্তা-বস্তা টাকা, তাল-তাল সোনা, মুঠো-মুঠো হীরে, রুপো উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁরই ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। বিরোধীদের বক্তব্য, যা উদ্ধার হয়েছে তা হিম শৈলের চূড়ামাত্র। কান টানলে আরও বড়-বড় মাথা ও আরও কুবেরের ধনের খোঁজ মিলবে বলে টিপ্পনি কাটতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
এদিকে, তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ পদে বহাল থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত ৬ দিন এগোতেই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েছেন, তেমনই অভিষেকও দলের সব পদ থেকে সাসপেন্ড করেছেন পার্থকে। যদিও তৃণমূল বিরোধী সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে বঙ্গে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যা রীতিমতো অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকদলের। দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মোটের উপর এককাট্টা হয়ে গিয়েছে বিরোধীরাও।
আরও পড়ুন- মেধাতালিকার সকলের নিয়োগ, আশ্বাস অভিষেকের, ‘স্যার মানবিক’ দাবি বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের
ঠিক এই আবহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর। শুধু নিজেই যাচ্ছেন না, অভিষেককেও সঙ্গে নিয়ে রাজধানী সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে এবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
মোদী-মমতা সেই আলাপচারিতায় উঠবে রাজ্যে ইডি তদন্তের প্রসঙ্গ? তা অবশ্য জানা যায়নি। মোদী-মমতা সাক্ষাৎ ঠিক কবে হতে পারে তাও স্পষ্ট নয়। এসএসসি দুর্নীতির তদন্ত যেভাবে এগোচ্ছে তাতে আরও রাঘববোয়ালরা ফাঁসবেন বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছেন বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের নেতারা।