জাপানের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের কথা সকলেই জানেন। তার অন্যতম সূত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সেকথা মাথায় রেখে সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে জাপানের শিল্পপতিদের কাছে নেতাজির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সম্মেলনে তিনি বলেন, 'জাপান সবসময় সেরা বন্ধু। এখন থেকে না। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আমল থেকে। আমি এলিনা বোসের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছি। আমি তাঁদের পরিবারের সদস্যকে সাংসদ করেছি। কৃষ্ণা বসু আমাদের দল থেকে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন। সুগত বসুও একসময় আমাদের সাংসদ ছিলেন। আমরা সুভাষ বসুর পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখি। আপনারা তাঁদের কীভাবে সম্মান জানান, আমরা সেটাও দেখেছি। আমি কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন জাপান গিয়েছি। রেল, কয়লা, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী থাকাকালীন জাপানে প্রতিনিধিদলও পাঠিয়েছি।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা অলিম্পিক এবং এশিয়াডে ভালো পারফরম্যান্স করেন। রাশিয়ার মত আপনাদের জিমন্যাস্টিকসও ভালো। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে জিমন্যাস্টিকস আকাদেমিও শুরু করেছিলাম। তারা খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছিল। আদিবাসী জেলা পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা যেভাবে ভল্ট খান, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ভালো পারফর্ম করতে পারত। অবশ্য সেখানে ছৌ আকাদেমি তৈরি হয়েছে। তিরন্দাজি আকাদেমিও আছে। তারা খুব ভালো পারফর্ম করে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে তাঁরা আরও ভালো কিছু করে দেখাতে পারবেন।'
বাম আমল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য জাপান আর্থিক সাহায্য করে থাকে। শুধু তাই নয়, এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে জাপান-সহ বিদেশের প্রতিনিধিরা রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন। সেই সব পরামর্শ রাজ্য সরকার বিবেচনা করবে। খতিয়ে দেখবে বলেই সম্মেলনে প্রতিনিধিদের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাপানের রাষ্ট্রদূত রাজ্য সরকারের কাছে পুনর্নবীকরণ শক্তি এবং হাইড্রোজেন নীতি নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, জাপানের প্রতিনিধিরা রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- BGBS 2023: ‘মমতাই অগ্নিকন্যা-জয় বাংলা’, বাংলায় আরও ২০ হাজার কোটি লগ্নির ঘোষণা আম্বানির
আরও পড়ুন- বাংলার নয়া ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ, মহারাজের সামনেই বিরাট ঘোষণা মমতার
মুখ্যমন্ত্রী বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের বলেন, 'আমি কলকাতাকে লন্ডন বানাব বলেছিলাম, লোকজন হাসাহাসি করেছিল। ভেবেছিল, আমি সেটা করতে পারব না!' লন্ডনের সঙ্গেও তাঁর পারিবারিক যোগাযোগ। তাঁর পরিবারের সদস্য লন্ডনে লেখাপড়া করেন বলেও ব্রিটেনের প্রতিনিধিদের জানান মুখ্যমন্ত্রী।