নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির জমি নিয়ে বিতর্কের জেরে বিশ্বভারতীর অভিযোগ নিয়ে পের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিজেপিকে এই বিষয়ে তুলোধোনা করেছিলেন মমতা। শুক্রবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচি নিয়ে বিশ্বভারতী যে বেআইনি ভাবে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছে তাতে তিনি ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। বিশ্বভারতীর অভিযোগ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ফের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মমতা।
নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে দাদা সম্বোধন করে মমতা লেখেন, অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষিতিমোহন সেন প্রায় ৮ দশক আগে শান্তিনিকেতনে বাড়ি তৈরি থাকতে শুরু করেন। পারিবারিক ইতিহাসের শিকড় বহু গভীর সেটা উল্লেখ করেছেন মমতা। তারপর বিশ্বভারতীকে অকস্মাৎ অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করে মমতা লিখেছেন, অমর্ত্য সেনের প্রতি তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দেশের ক্ষমতাসীন শাসকদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ে মমতা সর্বতোভাবে পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্বভারতীর আচরণ তাঁকে ব্যথিত করেছে বলে চিঠিতে লিখেছেন মমতা।
আরও পড়ুন বিজেপির বিরুদ্ধে বলেই অমর্ত্য সেনকে নিয়ে কুৎসা, তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী
গতকাল মমতা বলেন, “আমি যতটুকু জানি, ওনার পরিবার এখানে আছেন প্রায় ৭০-৮০ বছর। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁরা ওনার সম্পর্কে কতটুকু জানেন? অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই তিনি জমি দখল করে আছেন, হকার বসিয়েছেন, তাঁর প্রতীচী বাড়ি নিয়ে যা ইচ্ছা বলে যাবে তা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না। আমি বাংলার মানুষের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি যতদূর জানি, অমর্ত্য সেনের পরিবারই রবীন্দ্রনাথকে বোলপুরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, যে কুকথা, অসত্য অর্ধ সত্য, অর্ধ নগ্ন ভাষায় লোককে গালাগালি করছে। ভাবছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো পেয়ে গেছি একটা সহজ সরল ঘরের মেয়ে, তাঁকে রোজ গালাগালি দেয়, সে তো প্রতিবাদ করে না। কারণ সে তো জানে শেষ অবধি আমিই জিতব। আমাকে আঘাত আঘাত করতে করতে বাংলার মনীষীদের আঘাত করছে। বলছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি শান্তিনিকতনে জন্ম নিয়েছিলেন। কী চায় এরা, ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিতে?”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন