একশ দিনের কাজ থেকে আবাসের বরাদ্দ টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরগরম রাজনীতি। এবার বাংলাকে কেন্দ্রীয় অর্থ দেওয়া নিয়ে বোমা ফাটালেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ণ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি সাফ বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। টাকার অপব্যবহার হয়েছে। স্বচ্ছতা না থাকলে আর টাকা দেওয়া হবে না।'
কী বলেছেন গিরিরাজ?
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ণ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, 'দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে তার মধ্যে মমতাজির রাজ্য অন্যতম যেখানে কেন্দ্রের টাকার অপব্যবহার হয়েছে। উনি শুরু থেকেই বেআইনিভাবে ভারত সরকারের সব প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছেন। একশ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার অর্থ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি সবক্ষেত্রেই সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। মমতাদির সরকার লুঠের সরকারের পরিণত হয়েছে। আমি কেবল স্বচ্ছ্বতা চাই।'
গিরিরাজের সংযোজন, 'যাঁর তিন তলা বাড়ি আছে সেও আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন। কেন্দ্র আবাস যোজনায় ৮ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য খারাপ হলে কেন এইসব করতাম?' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, 'কেন্দ্রীয় অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এলে তো খতিয়ে দেখতেই হবে, তদন্ত হবে। মমতাদির মন্ত্রীরা দিল্লি এলে ভাল ভাল কথা বলেন, কিন্তু ফিরে গেলেই ওনাদের কথা ও পদক্ষেপ বদলে যায়। লুঠ চলতেই থাকে। একশ দিনের কাজ প্রকল্প লুঠের জন্য নয়, গরিবদের জন্য। আমি বাংলার গরিবদের বলতে চাই যে, আমরা টাকা দিতে তৈরি, কিন্তু লুঠের সরকারকে স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে হিসাব পেশ করতে হবে।'
পাল্টা মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'এটা সংকীর্ণ, সস্তা রাজনীতি। একশ দিনের কাজে ভাল কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে বাংলা। তারপরই মোদীর সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।'
গত কয়েক মাস ধরেই নানা দুর্নীতিতে তোলপাড় অবস্থা বাংলায়। যার অন্যতম একশ দিনের কাজ, আবাস যোজনা কেলেঙ্কারি। সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলতে গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ণ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রীর কাছে আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া দুর্নীতির নালিশ করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা।