লোকসভায় নজিরবিহীন ঘটনা। একসঙ্গে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী ৩৩ জন সাংসদকে। তারপরই বিজেপির বিরুদ্ধে পেশীশক্তি আস্ফালনের অভিযোগ তুলেছেন অধীর চৌধুরীরা। লোকসভার স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে হইচই চলছে। এসবের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে ১৫ মিনিটের জন্য সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরও পরিস্থিতির বদল হয়নি। ফের তপ্ত হয় লোকসভা। সেই সময়ই অধীর চৌধুরী, সৌগত রায় সহ বিরোধী ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেন স্পিকার। সাম্প্রতিক সময়ে এক সঙ্গে এত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার এই ঘোষণা করেন।
আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তত দিন এই সাংসদেরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না।
এ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতবারের সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি ভাগ্যবান, আমি এখন সাংসদ নই। যা চলছে তা কাঙ্খিত নয়।' এ দিন দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। তারপরই সংসদের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, 'ভিন্নমতকে বন্ধ করার একটি মাস্টারস্ট্রোক, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এখন অনায়াসে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বিবৃতি দিতে পারেন। বেশ কৌশলগত পদক্ষেপ, তাই না?'
এ দিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান-রা।
চলতি অধিবেশনে এখনও পর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৬৭ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও দাবি- শাহি বিবৃতির দাবিতে উত্তাল সংসদ, বরখাস্ত অধীর-সৌগত সহ ৩৩ সাংসদ