কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পাঁচিল টপকে ঢোকা যুবকের কি নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল? পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর মিলল। হাসনাবাদের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালত তাঁকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু লুকিয়ে থাকাই নয়। জামার নীচে লোহার রড লুকিয়ে মমতার বাড়িতে ঢোকে হাফিজুল। তাহলে কি নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর?
মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার রাত ১টা ২০ নাগাদ গার্ড রেল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢোকেন হাফিজুল। ৭ ঘণ্টা লুকিয়েছিলেন কনফারেন্স রুমের পিছনে। সকালে তাঁকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। তার পর তাঁকে আটক করে কালীঘাট থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লোহার রড নিয়ে ঢোকার কারণ কী তা জানতে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, জেড প্লাস নিরাপত্তা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর বাড়ির মতো হাইপ্রোফাইল সিকিউরিটি জোন, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কী ভাবে একজন পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। তাহলে কি নিরাপত্তায় বড়সড় কোনও গলদ ছিল? উত্তর অজানা।
আরও পড়ুন মা সারদাকে দেখেছেন নির্মল, এবার মমতার মধ্যে রানি রাসমণিকে পেলেন বিজেপি বিধায়ক
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে লোক ঢুকে পড়ল, পুলিশ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল। আমাদের মিটিং-মিছিলে পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে, আটকে দেয়। আর মুখ্যমন্ত্রীর বেলায় দেখা নেই। আর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে একজন ঢুকে পড়েছে, তা নিয়ে এত হল্লা করার কী আছে?"
আরও পড়ুন আপসহীন বামপন্থী ছিলেন, শেষযাত্রায় লাল পতাকা-গীতাঞ্জলি বুকে রইল তরুণ মজুমদারের
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, "যখনই মাননীয়া কোনও বিপাকে পড়েন তখন এই ধরনের খবর হয়। একজন মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে যাতায়াত করেন না, কীসের ভয়ে! আমাদের সময় তো এরকম হয়নি। আর ওঁর বাড়িতে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙছেন একজন। পুলিশ কী করছিল? যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে পারে না পুলিশ, তাহলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কাকে ভরসা করবেন?"