Mamata Banerjee on Netaji's 127th birth birthday: রেড রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৭ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, 'নেতাজিকে সবাই ভুলে যাচ্ছেন। দেশের দুর্ভাগ্য যে নেতাজির মৃত্যুর দিন কেউ জানতে পারল না। শুধুমাত্র রাজনীতি ছাড়া কিছু হচ্ছে না।' সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এখনও নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি, ফের একবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি কেন নয়?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, কেন্দ্রের সদিচ্ছার অভাবেই জাতীয়বীর নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা যায়নি। তিনি বলেন, 'আমরা নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথের অনুসারী। মহাত্মা গান্ধী নেতাজিকে দেশনায়ক, জাতীয় নেতা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। মমতার কথায়, ২০ বছর ধরে চেষ্টা করেও তিনি নেতাজির জন্মদিন জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করাতে পারেননি। এই কারণে তিনি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। এই প্রসঙ্গেই নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক প্রচারের কারণে ছুটি হয়ে যায় অথচ নেতাজির জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করা হয় না।'
'আমাদের জীবন্ত নেতাজি চাই'
'কোথায় হারিয়ে গেলেন নেতাজি? কোন অন্ধকারে? কীভাবে যে হারিয়ে গেলেন, এখনও জানা নেই। তাঁর মৃত্যুদিনও আমরা জানতে পারলাম না। আমাদের কাছে তাঁর তথ্য সম্বলিত যা ফাইল ছিল, সেই ৬৪ ফাইল আমরা প্রকাশ করে দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্র ফাইল বের করেনি। বিজেপি নেতাজিকে ভুলে গিয়েছে। আমরা নেতাজির মৃত্যুদিনটাও জানতে পারলাম না। ওরা বলেছিল, ছাই নিয়ে যেতে। আমি বলেছি, ছাই নেব না, আমাদের জীবন্ত নেতাজি চাই। নেতাজি আমাদের সেন্টিমেন্ট। জন্মদিনে তাঁর পথেই যেন চলতে পারি, সেটাই স্মরণ করছি।'
'প্ল্যানিংটা এখন হিংসা, ঘৃণায় পরিণত হয়েছে'
প্ল্যানিং কমিশন তুলে মোদী সরকার নীতি আয়োগ গঠন করেছে। যা নিয়ে আগেও মোদী সরকারকে দুষেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও আক্রমণ শানালেন। বললেন, 'আগে প্ল্যানিং কমিশন ছিল। সেখানে ভালো কাজ হতো। কিন্তু এখন হয়েছে নীতি আয়োগ। যার কোনও নীতি নেই, আয়োগ নেই। মোমের পুতুলের মতো। নেতাজির তৈরি করা প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। প্ল্যানিংটা এখন হিংসা, ঘৃণায় ও বিভেদে পরিণত হয়েছে। দেশের নেতা তাকেই বলে যাঁর চারপাশে থাকে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ। কিন্তু আজ তাঁর দেখা কোথাও নেই।'