বঙ্গ ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশ হয়নি। ফলাফল তো দূরের কথা। কিন্তু তার আগেই বৃহস্পতিবার সরকারি অনুষ্ঠান থেকে পুলিশের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।” বুঝিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য আসতে চলেছেন তিনি। এদিন পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মমতা বলেন, “আপনারা চিন্তা করবেন না, আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।” পাশাপাশি সরকারি অনুষ্ঠান থেকে একাধিক ভবন, তারাপীঠের মন্দিরের নয়া তোড়ন ও প্রাক্তন মাওবাদী ও কেএলও সদস্যদের চাকরি প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চাওয়া প্রায় হাজার মাওবাদী-কেএলও লিংকম্যানকে এদিন স্পেশ্যাল হোমগার্ড পদে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গে ও জঙ্গলমহলে হাতির হানায় নিহতদের পরিজনকে পুলিশের নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহল কাপের বিজয়ী ও রানার্সদেরও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে সরকার। কোভিডের সময় রক্তদান শিবির করে রাজ্যের ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের জোগান দেওয়ায় পুলিশকর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা। একইসঙ্গে পুলিশকে সতর্ক করে দেন, “৫০ লক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে কুৎসা করে দাঙ্গা করবে বলে। সেইসব আপনাদের রুখে দিতে হবে।”
আরও পড়ুন ‘ওরা কী আমাকে হিন্দি শেখাবে, আমি ওদের শেখাব’, বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার
রাজারহাটে আদিবাসী ও লেপচা ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারাপীঠে নয়া তোড়ণের উদ্বোধনের পর কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, যেন নয়া তোড়ণে সুন্দর করে এলইডি লাইট লাগানো হয়। দু-তিনদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে তাঁকে ছবি পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশের জন্য লিভ কম্পেনসেশন পে আগে ছিল ৩০ দিন। সেটা ৫২ দিন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, এই ছুটি বাড়িয়ে ৬০ দিন করে দেওয়া হবে। পুলিশকর্মীরা ছুটির মধ্যেও কাজ করেন। তাঁরা যাতে কাজে উৎসাহ পান, সেই কারণেই এই পদক্ষেপ করার কথা বলেন তিনি।