New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/mamata-1.jpg)
মঙ্গলবার একাধিক বিনিয়োগে ছাড়পত্র দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। ফলে বাড়বে কর্মসংস্থান।
রাজ্যে আসতে চলেছে বিনিয়োগের জোরায়। ফলে সুযোগ বাড়বে কর্মসংস্থানের। একাধিক বিনিয়োগে ছাড়পত্র দিল মমতা ক্যাবিনেট। নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দান, উইপ্রোর আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যে তাদের জমি দেওয়া হবে, কলকাতায় আরও একটি ইউনিট খুলছে ইনফোসিস। মঙ্গলবার নবান্নে এই ঘোষণা করেছেন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু কলকাতা বা সংলঙ্গ এলাকায় নয়। রাজ্যজুড়েই বিনিয়োগ আসছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুসারে, জলপাইগুড়িতে একটি সিমেন্ট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানসুযোগ হবে বলে জানান মমতা।
পাশাপাশি বকেয়া খাজনায় সুদ মকুবের পথেও হাঁটছে রাজ্য সরকার। ভূমি আইন মোতাবেক, জমির বকেয়া খাজনা মেটাতে চড়া হারে সুদ দিতে হয়। সুদের পরিমান প্রায় ৬.২৫ শতাংশ। রাজ্য ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২০২১ সালে জুন মাসের মধ্যে জমির বকেয়া খাজনা জমা করলে কোনও সুদ দিতে হবে না। নবান্নে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুদ মুকুবের কারণ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'লকডাউনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতর বন্ধ ছিল। আবার মানুষের হাতে টাকাও কম। ফলে অনেকেই ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জমির খাজনা মেটাতে পারেননি। তাই মানবিকতার খাতিরেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ।'
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাংলায় ৬১৭টি মেলা, প্রদর্শনী হবে। এতে ১৫৬ কোটি টাকার কেনা-বেচা হবে। এর ফলে কারিগর-বিক্রেতারা লকডাউনের জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা পূরণ করতে পারবেন বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবার রাজ্য ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানে ভাঁটা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিশ্ব-বানিজ্য় সম্মেলন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়ও। তাই বিপুল বিনিয়োগের ঘোষণা করে একদিকে বিরোধী জবাব, অন্যদিকে রাজ্যের শিল্প বিরোধী তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন