নতুন মন্ত্রিদের শপথের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দফতর বন্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক মন্ত্রীর দফতর অদলবদল হল। ফিরহাদ হাকিমকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীত্ব থেকে অব্য়াহতি দেওয়া হল। একই অবস্থা মলয় ঘটক ও পুলক রায়ের। গুরুত্ব বাড়ল বর্ষীয়ার মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও অরূপ বিশ্বাসের। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন ৪ জন।
একনজরে কারা কোন দফতরের দায়িত্বে-
- শিল্প-বাণিজ্য এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী - শশী পাঁজা
- পরিষদীয় ও কৃষি মন্ত্রী - শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
- আবাসন, ক্রীড়া-যুবকল্যাণ, বিদ্যুৎ - অরূপ বিশ্বাস-
- পরিবহণ মন্ত্রী - স্নেহাশিস চক্রবর্তী
- পর্যটন ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী - বাবুল সুপ্রিয়
- সেচ ও জলপথ মন্ত্রী - পার্থ ভৌমিক
- পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী - প্রদীপ মজুমদার
- উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী - উদয়ন গুহ
- জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি এবং পূর্ত - পুলক রায়
- পুর ও নগরোন্নয়ন - ফিরহাদ হাকিম
- পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি- পুলক রায়
- ক্রেতা সুরক্ষা - বিপ্লব মিত্র
- স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি - বীরবাহা হাঁসদা (স্বাধীন দায়িত্ব)
- মৎস - বিপ্লব রায় চৌধুরী (স্বাধীন দায়িত্ব)
- ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র - তাজমুল হোসেন (প্রতিমন্ত্রী)
- স্কুল শিক্ষা - সত্যজিৎ বর্মন (প্রতিমন্ত্রী)
মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন রত্না দে নাগ, সৌমেন মহাপাত্র, হুমায়ুন কবীর ও পরেশ অধিকারী। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আদালত। গত চার বছরের বেতন বাবদ পাওয়া অর্থও বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকারকে দেওয়া নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া, শারীরিক কারণে সৌমেন মহাপাত্র বাদ পড়তে পারেন বলে জল্পনা ছিলই।
আরও পড়ুন- ‘হাফ-প্যান্ট থেকে ফুল-প্যান্টে পদোন্নতি’ বাবুলের, শপথের দিনই উড়ে এলো কটাক্ষ
উল্লেখযোগ্য হল, পরিবহণ এবং আবাসন দফতর থেকে ফিরহাদ হাকিমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি শুধু পুর ও নগরোন্নয়নদফতরের মন্ত্রী। নয়া বিজ্ঞাপ্তি অনুযায়ী, পরিবহণের দায়িত্বে জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আবাসন গেল ইরূপ বিশ্বাসের কাছে। আগে থেকেই অরূপ বিশ্বাস বিদ্যুৎ এবং ক্রীড়া ও যুব কল্যাণের মন্ত্রী আছেন। ফলে দায়িত্ব বাড়ল অরূপের। এছাড়া, কৃষির পাশাপাশি এবার পরিষদীয় দফতরটি সামলাতে হবে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে।
মলয় ঘটকের হাতে ছিল পূর্ত দফতর। জনস্বাস্থ্য কারিগরির সঙ্গেই সেটির দায়িত্বে এবার পুলক রায়। তবে পুলকের হাতে থাকা পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন দফতরটি গিয়েছে আজই শপথ নেওয়া প্রদীপ মজুমদারের আওতায়।
মোট বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে বাংলায় ৪৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। আপাতত মমতা মন্ত্রিসভায় তা পূর্ণ। মন্ত্রিসভার রদবদলের বহরেই স্পষ্ট যে, পার্থখাণ্ডের পর একটা ঝাঁকুনি দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।