শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে বিতর্ক বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়েই সরব বিরোধী দলনেতা।
অভিযোগ, ন্যায্য চাকরি প্রার্থীদের বদলে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, '১০০টা চাকরি হলে ১টা নিজের লোককে কে না দেয়? কাকে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে রাখবেন সেটা আপনার পছন্দ। কোনও সংবাদমাধ্যম বলতে পারবে তারা খুব আইন মেনে চলে? আমরা তবু আইন মেনে চলি।'
আরও পড়ুন- ‘ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’, পার্থ ইস্যুতে মমতাকে ভয়ঙ্কর কটাক্ষ শুভেন্দুর
ভাইরাল যুগেও কেন তাঁর কাছে দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ পৌছাল না তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মমতা। বলেছেন, '১ লক্ষ ছেলে মেয়ের চাকরি হল। আমি জানতে পারলাম না। আজকাল ভাইরালের যুগ। কেউ কমপ্লেন করল না। এত টাকা উঠল কোথা থেকে জানতে পারলাম না। কোনও টেলিভিশন মিডিয়াও তো জানাননি? কেউ তো জানাননি। জানালে তো তখনই অ্যাকশন হত।'
আরও পড়ুন- ‘কেউ চোর-ডাকাত হলে তৃণমূল রেয়াত করবে না’, পার্থ-কাণ্ডে এবার নীরবতা ভাঙলেন মমতা
বিতর্কিত মন্তব্য করে আদলে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতার কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ, টেট সহ সর্বস্তরের দুর্নীতিকে তিনি এভাবে সমর্থনের চেষ্টা করেছেন যে, বেসরকারি ক্ষেত্রে যেভাবে চাকরি হয় এগুলোও সেভাবে হবে। কিন্তু মাননীয়ার জেনে রাখা দরকার যে, সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা, মেধা ইত্যাদির যে ব্যবস্থাগুলি রয়েছে, যেগুলো হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট বা আমাদের নিয়োগ সংক্রান্ত সার্ভিস রুলে আইন স্বীকৃত তাঁকে আপনি বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাত পারবেন না। লক্ষ লক্ষ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কৃচ্ছসাধনকে তুচ্ছ করে উনি তাদের সিপিএম-বিজেপির ক্যাডার বলে অপমান করেছেন। মাননীয়া বলছেন দ্রুত তদন্ত করতে। সবটাই ওনার পরস্পর বিরোধী। মনে হচ্ছে এই প্রথম তৃণমূল নেত্রী ভয় পেয়েছেন। উনি বুঝে গিয়েছেন এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের পর বাংলায় আর মাথা উঁচু করে মানুষের সামনে যাওয়া সম্ভব নয়।'