দিন কয়েক আগেই জাতিদাঙ্গায় দীর্ণ হয়েছে উত্তরপূর্বের রাজ্য মণিপুর। সেই পরিস্থিতিই এবার বাংলায় করার চেষ্টা চলছে বলে শালবনীর জনসংযোগ যাত্রার সভায় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে জাতিদাঙ্গা মণিপুরে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। এ জন্য আগেই কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসক দলকে নিশানা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশঙ্কা এ রাজ্যে কুড়মি ও আদিবাসীদের মধ্যে পরিকল্পনা করে জাতিদাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া বাহিনী। পরিকল্পনা বাস্তবায়ণে কুড়মি নেতাদের পদ্ম শিবিরের তরফে অর্থও দেওয়া হচ্ছে বলে তোপ মমতার।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
শনিবার শালবনীতে জনসংযোগ যাত্রার মঞ্চে বক্তব্য পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বাংলায় জাতিদাঙ্গা ঘটানোর চক্রান্তের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, 'মণিপুরে যেমন জাতিদাঙ্গা লাগিয়েছে, সেরকম ওরা বাংলাতেও লাগাতে চায়। পাহাড় আলাদা করে দাও, এটা কে করেছল? বিজেপি। আমি কোনও রকমে সামলেছি। রাজবংশী কামতাপুরী আলাদা করে দাও, কে লাগিয়েছিল? বিজেপি, আমরা সামলেছি। আর এবার ওদের পরিকল্পনা হচ্ছে কুড়মি আর আদিবাসীদের লাগিয়ে দাও। তাহলে দুই দলের রক্তারক্তি হবে। আর ফায়দা লুটবে বিজেপি।'
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জাতিদাঙ্গার জন্য 'প্রতিদিন গন্ডগোল করার জন্য বিজেপি টাকা দিয়েছে ওদের অনেক নেতাকে। মণিপুরের মত আপনাদের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেবে। দিল্লি থেকে সেনা আসবে, বন্দুক ধরবে, গুলি চালাবে, আর মরে গেলে একটা কোর্ট কেসও করতে পারা যাবে না, কারণ একটা নিয়ম আছে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, 'জাতিদাঙ্গা যে করবে আমি তাঁদের ছাড়ব না। যাঁরা আন্দোলনের নামে রাস্তা অবরোধ, ট্রেন অবরোধ, সম্পত্তি ভাঙচুর করছেন সেই মাথাগুলোকে বলছি- ভালো করে থাকলে আমি মাথায় ছাতা ধরব। কিন্তু বিজেপির টাকা নিয়ে কাজ করলে, দাঙ্গার চেষ্টা করলে আমি চোখ রাঙানি সহ্য করব না।'