/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/kopl.jpg)
শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা সাড়ে ছ'শোরও বেশি। শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও একসময় রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ''অ্যান্টিকলিউশন ডিভাইস আমিই করে দিয়ে এসেছিলাম। সেটা ছিল না। থাকলে অ্যাক্সিডেন্ট হতো না।''
শনিবার সকালে হেলিকপ্টারে বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজের তদারকি করছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধারকাজ নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও উদ্ধারকাজে রেলকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রেল বাজেট নিয়ে এদিন সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে আলাদা করে রেল বাজেট না করা নিয়ে এদিন মমতার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনার পরপরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও তড়িঘড়ি যা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেব্যাপারেও বিশদে জানান তিনি। এদিন তিনি বলেন, ''দুর্ঘটনাগ্রস্তদের বেশির ভাগই বাংলার। বাংলা থেকে ওড়িশায় ৭০ অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। মেদিনীপুর থেকে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে ওড়িশায়।''
আরও পড়ুন- করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা: বালেশ্বরে পৌঁছেই রেলমন্ত্রীকে পেয়ে রেল বাজেট নিয়ে তোপ মমতার
ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ''দুর্ঘটনার পিছনে নিশ্চই কিছু আছে। রেলে মনে হয় সমন্বয়ের অভাব আছে। রেল মন্ত্রককে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁরা যাত্রীদের সুবিধা দিতে পারছেন না। অ্যান্টিকলিউশন ডিভাইস আমিই করে দিয়ে এসেছিলাম। সেটা ছিল না। থাকলে অ্যাক্সিডেন্ট হতো না।''