পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে বিনামূল্যে করোনার টিকা পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের নিখরচায় টিকা দেওয়ার কথা জানাতে গিয়ে সরকারের এই নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা সামনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও সামনের সারিতে থাকা করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কবে এই টিকা পাবেন? তার কত মূল্য হবে? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন। এর মাঝেই বিভিন্ন জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর সরকার রাজ্যবাসীর কাছে বিনামূল্যে টিকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
বিভিন্ন জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে উল্লেখ, সরকারি-বেসরকারি যেসব কর্মী সর্বশক্তি দিয়ে যেভাবে মানুষের সেবা করছেন তার জন্য সেইসব কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে কুর্নিশ। রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।'
পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের লেখা মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি
এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, নিজের জীবনকে বাজি রেখে যে ভাবে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা-সেবার কাজ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, তাতে প্রথম পর্যায়েই বাংলার সব স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষের কাছে বিমানূল্যে টিকা পৌঁছনোর নীতিগত ইচ্ছার বিষয়টি ভোটের আগে তৃণমূলের জন্য ইতিবাচক হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে বিপুল খরচ ও টিকাকরণ প্রক্রিয়ার বাস্তবতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বাংলায় করোনা টিকার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৭ লক্ষের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন