/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/amit-shah-suvendu-adhikari.jpg)
কী এমন বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপির আসন জয়, মমতা সরকারের মেয়াদ নিয়ে বুধবার বড় দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ছাপিয়ে গেলেন অমিত শাহ-কেও!
গত এপ্রিলে বীরভূমের শিউড়িতে সভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকেই অমিত শাহ আগামী লোকসভার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে আসনের টার্গেট বেঁধে দেন। তাঁর দাবি ছিল, 'লোকসভায় বাংলা থেকে বিজেপিকে ৩৫টি আসন দিন, দেখবেন ২০২৬-এর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে গিয়েছে।'
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচন হল সেমি ফাইনাল। ফাইনাল হবে চব্বিশে। আর সেখানে দেশ থেকে বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজবে। বিজেপির আয়ু আর ছ’মাস।'
বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি উত্থাপন করেন। সেই প্রসঙ্গেই খানিকটা চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন 'উনি বলেছেন, পঞ্চায়েত সেমিফাইনাল। আমি বলছি সেমিফাইনাল নয়। পঞ্চায়েত হল কোয়ার্টার ফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে চব্বিশে। উনিশে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার ৩৬টি পাব। তারপর তিন মাসের মধ্যে বাংলায় সরকার পড়ে যাবে।' অর্থাৎ শাহ যা লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন এ রাজ্য থেকে লোকসভা ভোটে তার থেকেও বেশি আসন জিততে মরিয়া নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'শুভেন্দু একটা বদ্ধ উন্মাদ। মাঝেমাঝেই একটা করে তারিখ বলে, সংখ্যা বলে, তারপর আবার চুপসে যায়। বিজেপির বাকি লোকেরাও ওঁর কথা বিশ্বাস করে না।'
সময়সীমা বেঁধে তৃণমূল সরকারকে শুভেন্দুর আক্রমণের নজির এই প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলনেতার 'তারিখ বিপ্লব' শোরগোল ফেলেছিল। তাতে বাস্তবে মমতা সরকারের কেশাগ্র স্পর্শ করা যায়নি।