করোনা আবহে প্রায় দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ। বাড়ি থেকে অনলাইন ক্লাসেই চলছে পঠনপাঠন। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরিব পড়ুয়াদের দুবেলা অন্নই জোটে না তায় স্মার্টফোন তো নেই বললেই চলে। তাই দুস্থ পড়ুয়াদের কথা ভেবে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে ঘোষণা করলেন, অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে বিনামূল্যে ট্যাব দেবে রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়াদের এই ট্যাব দেবে সরকার।
এদিন নবান্ন সভাঘরে রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই বৈঠক থেকেই তিনি ঘোষণা করেন, "স্কুলের ছেলে-মেয়েরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছে। আমাদের সরকার সবসময় চেষ্টা করে সাহায্য করার। নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শিক্ষাশ্রীর স্কলারশিপের টাকা তফলিসি জাতি-উপজাতির পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণি থেকে একদম বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত ছাত্রীরা কন্যাশ্রীর টাকা পায়। কিন্তু অনলাইনে পড়াশোনার জন্য অনেকের কাছেই ভাল মোবাইল বা ট্যাব নেই। তাই সরকার ঠিক করেছে, দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত রাজ্যের সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে বিনামূল্যে ট্যাব দেবে সরকার। রাজ্যে ১৪ হাজার স্কুল এবং ৬৩৬টি মাদ্রাসার পড়ুয়ারা এই সুবিধা পাবে।"
সেইসঙ্গে তিনি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, সরকারি স্কুলগুলিতে একটি করে কম্পিউটারের ব্যবস্থা করতে। এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্যও বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা করেন, জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন রাজ্যের কর্মচারীরা। ডিএ মামলায় স্যাট রাজ্য সরকারকে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গেছে রাজ্য। আগামী ১৬ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগেই ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করে কর্মচারীদের মন গলানোর চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একুশের মহারণের আগে ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা।