‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে মিলেছে সাফল্য। এবার ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, খুব বড় প্রকল্প নয়, কিন্তু ছোট ছোট সমস্যার সুরাহা ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে করা হবে।
কীভাবে জনগণের কাছে পৌঁছবে পরিষেবা?
ভোটের আগে 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিল মমতা সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণ অনেকটাই সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছে শাসক শিবির। জোড়া-ফুল শিবির ও সরকারের দাবি রোজই ওই কর্মসূচি নজির স্থাপণ করছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের কাছে আরও নিবিড়িভাবে প্রশাসনকে পৌঁছে দিয়ে সমস্যার সমাধান করার নবান্নের টার্গেট। 'দুয়ারে সরকারে'র মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান হচ্ছে। 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের' মাধ্যমে হবে এলাকাগত সমস্যার সুরাহা।
এ দিন বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কখনও কখনও কোনও এলাকার স্কুলে ক্লাসরুমের দাবি থাকে। কিংবা এলাকায় শৌচালয়ের দাবি থাকে। আবার কোনও এলাকায় পাইপ পৌঁছলেও জলের পরিষেবা অমিল। কিংবা গ্রামাঞ্চলে হাসপাতাল থাকলেও অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন বহু মানুষ। কোনও কোনও এলাকায় কালভার্ট তৈরি না হওয়ার ফলেও মানুষের মনে ক্ষোভ সঞ্চার হয়। সেই সমস্ত ছোট ছোট সমস্যার সমাধান নয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। মূলত পুরসভার এলাকার বকেয়া কাজই ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে করা হবে।
আগামী ২-১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়া এই কর্মসূচি চলবে। 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধান' কর্মসূচি রূপায়ণে ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। জমা পড়েছে ১০ হাজার আবেদন।
'দুয়ারে সরকার' হোক বা ''পাড়ায় পাড়ায় সমাধান', মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার এই সব কর্মসূচি আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রভাব ফেলবে বলেই আশা তৃণমূলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন