এ রাজ্যে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমফান দুর্যোগের জেরে লন্ডভন্ড বাংলা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাজ্য সরকারের আনুরোধে রাস্তায় নেমেছে সেনা। এদিকে সংক্রমণও বাড়ছে হুহু করে। তাই বিশেষ অবস্থার কথা বিবেচনা করেই কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে এই আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সোমবার থেকে দেশের সর্বত্র দেশীয় উড়ান পরিষেবা চালু হচ্ছে।
কলকাতার পাশাপাশি বাগডোগরা দিয়েও অন্তর্দেশীয় উড়ান চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের অনুরোধ, বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত দেশীয় উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হোক। এ ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে আবেদন জানাবে বলে শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত বাংলায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন প্রবেশ বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলকে চিঠি দিয়ে ওই আবেদন করেছেন তিনি। রেলকে দেওয়া চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘সাইক্লোন আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় জেলা প্রশাসন ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে ব্যস্ত। আগামী কযেকদিন তাই শ্রমিক স্পেশালে যাঁরা ফিরবেন তাঁদের উপর নজরদারি চালানো সম্ভব হবে না। তাই ২৬ মে পর্যন্ত রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন প্রবেশ করানো বন্ধ করা হোক।’
আরও পড়ুন- কলকাতার রাজপথে নামল সেনাবাহিনী
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদন নিয়ে রেলেরও কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিযেছিলেন যে, আগামী এক মাস ধরে ১০৫টি শ্রমিক স্পেশালে এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরবেন। পরিযায়ীদের রেল যাত্রার সব খরচ দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
দেশজুড়ে রেকর্ডহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায়, দেশীয় উড়ান পরিষেবা নিয়ন্ত্রিতভাবে চালুর ঘোষণা করেছে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক। তবে, কেন্দ্রের এই ঘোষণা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিরোধের সুর লক্ষ্য করা গিয়েছে। গণ পরিবহণ না চললে বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যা হবে বলে মনে করে তামিলনাড়ু সরকার।। বিমানে যাঁরা ফিরবেন তাঁদের আবশ্যিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর পক্ষে কর্নাটক, আসাম ও কেরালা সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন