তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। শাসক দল তৃণমূলের মহাসচিব। সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই গত প্রায় দেড় বছর ধরে জেলবন্দি। বারে বারে নাকচ হয়েছে জামিনের আবেদন। পার্থও একাধিকার প্রায় নিয়ম করেই দাবি করেছেন যে, তিনি প্রভাবশালী নন। কিন্তু, আচমকা বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে উঠল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। একদা ঘনিষ্ঠের নাম উচ্চারণ করলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই যেন অস্বস্তি বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এ দিনই ছিল পার্থর জামিন মামলার শুনানি। ভার্চুয়ালভাবে আদালতে হাজির করানো হয় তাঁকে। সেখানে নিজের করুণ কাহিনী তুলে ধরে একাধিক আবেদন করেছে পার্থ। যেন বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে প্রভাবশালী তকমা ঝেড়ে ফেলতে কতটা মরিয়া তিনি।
আরও পড়ুন- নেতাজি ইন্ডোরে অভিযুক্ত প্রোমোটারকে খুঁজুন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
ভার্চুয়ালভাবে আদালতে হাজির হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর শরীর দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পায়ে প্রচন্ড ব্যথা। পা ফুলে গিয়েছে। হাঁটতে পারছেন না। এর পরই আদালতের তাঁর আর্জি, জেলে যেন তাঁর ফিজিওথেরাপি বা কিডিনির চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি দাবি করেন যে, তিনি প্রভাবশালী নন। এর আগেও শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন শুনে বিচারক জানান যে, জেলের নিয়ম অনুসারে যতটা সম্ভব সেই ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিনও জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- আরএসএসের কাছে ‘কাতর’ আর্জি মমতার, ‘ধরা পড়ে যাচ্ছেন’- পাল্টা চাঁচাছোলা সংঘ
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে এ দিন নতুন অভিযোগ এনেছে সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবীর দাবি, শান্তিপ্রসাদ সিনহা দুর্নীতি করে চাকরি বিক্রির সঙ্গেই নিয়োগের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন।
আরও পড়ুন- আর শুধু অভিষেক নয়, এবার দিল্লি অভিযানের নেতৃত্বে মমতা, চ্যালেঞ্জ মোদীকে!