কথা রাখলেন মমতা। শীতলকুচিতে নিহত পাঁচ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সকালে মাথাভাঙায় গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মান-অভিমান ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন নিহত আনন্দ বর্মণের দাদু। গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন আনন্দ বর্মণ। প্রথম বার ভোট দিতে গিয়ে খুন হন এই তরতাজা যুবক। পরে দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার মুসলিম যুবকের। তাঁদের পরিবারকেও সমবেদনা জানালেন মমতা।
Advertisment
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। আমি চাই এদের বিচার হোক। যারাই করে থাকুক, ভোট শেষ হলেই এর তদন্ত করে দোষীদের বের করবই। আনন্দ বর্মণের পরিবারের লোকও এসেছে। সবাইকে আমার সমবেদনা। আমি প্রত্যেকের পরিবারের পাশে আছি। আমাকে ৭২ ঘণ্টা আসতে দেওয়া হয়নি। কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। শান্ত থাকুন। দোষী যেই হোক না কেন, আমরা শাস্তি দেবই।"
এরপর তিনি আরও বলেন, "পরিবারগুলোর দেখভাল করার জন্য যা যা করার দরকার সব করব। শান্তি রক্ষা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমরা বুলেটের বদলে ব্যালটে জবাব দেব। আমরা শান্তি দিয়ে জবাব দেব। আনন্দকে যাঁরা মেরেছে, তারা অপরাধ করেছে। তাদের শাস্তি দেবই।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রতিশ্রুতি দেন, কমিশনের শর্তসাপেক্ষ অনুমতিতে নিহত এবং আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে পাঁচ জনের মূর্তি এবং শহিদ বেদী তৈরি করবে সরকার। ভোট মিটলেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তদন্ত করে উচিত শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আনন্দ বর্মণের দাদুর উপস্থিতি। তিনি গতকালই বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না। তবে এদিন রাগ-ক্ষোভ ভুলে মমতার সঙ্গে দেখা করেন আনন্দর দাদু।